নয়াদিল্লি: আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), এই অভিযোগ গ্রহণ করল ভারতের নির্বাচন কমিশন (ECI)। ২৯ এপ্রিলের মধ্যে এই মর্মে জবাব চাওয়া হয়েছে বিজেপি (BJP) এবং কংগ্রেসের (Congress) কাছে। লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকেই মোদি এবং রাহুলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভাঙার অভিযোগ এনেছে যথাক্রমে কংগ্রেস এবং বিজেপি।
সেই সব অভিযোগ গ্রহণ করল কমিশন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda) এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে (Mallikarjun Kharge) এর জন্য জবাবদিহি করতে বলা হয়েছে। জবাব দেওয়ার সময়সীমা ২৯ এপ্রিল বেলা ১১টা।
আরও পড়ুন: ধসে নিশ্চিহ্ন চীন সীমান্ত সংযোগকারী জাতীয় সড়ক
এই নোটিস দিতে গিয়ে কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনী প্রচারে উচ্চপদস্থ নেতাদের বক্তব্যের প্রভাব অনেক বেশি। বিবৃতি বলা হয়, “প্রার্থীদের আচরণের ব্যাপারে প্রাথমিক এবং ক্রমবর্ধমান দায়িত্ব নিতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে।”
২১ এপ্রিল রাজস্থানের বাঁসোয়ারায় নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী ভাষণ নিয়ে কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল কংগ্রেস। সেই জনসভায় মোদি বলেন, কংগ্রেস যদি ক্ষমতায় আসে তবে দেশের সম্পদ ‘অনুপ্রবেশকারী’ এবং ‘যাদের সন্তানসন্ততি বেশি’ তাদের হাতে তুলে দেবে। দেশের মুসলমান সম্প্রদায়ের কথা বলেছেন মোদি, অভিযোগ কংগ্রেসের। এই একই ভাষণ তিনি ছত্তিশগড় এবং মধ্যপ্রদেশেও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ শুধু কংগ্রেস করেনি। এর আগে শিবসেনার উদ্ধব শিবিরের সাংসদ সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut) মোদির বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ এনেছিলেন। রাউতের দাবি, লোকসভা ভোটে বিজেপির হয়ে প্রচার করতে নিজের সরকারি কার্যালয় ব্যবহার করেছেন মোদি। শিবসেনা সাংসদ এও বলেন, যদি সরকারি সম্পত্তি ব্যবহার করে ভোটের প্রচার করা হয় তাহলে নির্বাচন কমিশন বিজেপিকে তার খরচের হিসেব দিক।
দেখুন অন্য খবর: