কলকাতা: টানা দু’দিনের বৃষ্টিতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা জলমগ্ন৷ চাপ বেড়েছে দুর্গাপুর জলাধারের উপর। এই পরিস্থিতিতে দামোদর নদের বাঁধ থেকে ধীরে ধীরে জল ছাড়ার অনুমতি দিল রাজ্য৷ কতটা জল ছাড়া হচ্ছে সে বিষয়ে সেচ দপ্তরকে যোগোযোগ রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে৷ এই জলে কোথায় কোথায় বানভাসির আশঙ্কা থাকছে এবং তা মোকোবিলায় স্থানীয় প্রশাসন কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে শনিবার তা নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী৷
আরও পড়ুন- বাবুলের ‘রাজনীতি ছেড়ে দেওয়া’ নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ
সূত্রের খবর, ভার্চুয়াল বৈঠকে দুই ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, দার্জিলিং, কালিম্পং ও হুগলিকে নিয়ে ৯ জেলার জেলা শাসকরা উপস্থিত ছিলেন৷ জেলায় জেলায় বৃষ্টির জমা জল সরাতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া সে বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন মুখ্য সচিব৷ তিনি জেলা শাসকদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, আরও এক দুদিন নজরে রাখুন। ডিভিসি জল ছাড়তে পারে। ডিভিসি কতটা জল ছাড়ছে সেদিকেও নজর রাখা দরকার। প্রয়োজনে আরও নদী পার্শবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সরাতে হবে৷ কোন নদীর জলস্তর কতটা বাড়াকমা হচ্ছে তা সর্বক্ষণ নজরদারিতে রাখতে হবে৷
আরও পড়ুন- শুভেন্দুর দখলে বঙ্গ বিজেপি, অস্তিত্বের সঙ্কটে দিলীপ: ফিরহাদ
রেকর্ড বৃষ্টিতেই জেলায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷ তারউপর দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়লে তার সরাসরি প্রভাব পড়ে হাওড়া, হুগলি এবং পূর্ব বর্ধমান জেলায়। এদিকে হাওড়ার আমতা এবং উদয়নারায়ণপুর এলাকা সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। বৃষ্টির জলেই বহু জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের সিঙ্গিগ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ব্রহ্মানী নদীতে সারা বছরই জল থাকে না বলে চলে৷ সেই নদীই এখন দু’কুল উপচে চাষের জমি ভাসিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘চললাম অলবিদা’, বাবুলের ফেসবুক পোস্টে তোলপাড় রাজনীতি
রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলির অবস্থাও খারাপ৷ বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়ক এখন জলের তলায়। ফলে বন্ধ রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা৷ বাঁকুড়ার সিমলাপালের শিলাবতী নদীর জল বইছে সেতুর ওপর দিয়ে। বাঁকুড়ার ছাতনা থেকে চামকরা রাস্তায় গন্ধেশ্বরী নদীর জল বইছে সেতুর ওপর দিয়ে। আমোদর নদের জলে জয়রামবাটি ঢোকার রাস্তা জলে ভাসছে।
আরও পড়ুন- ভ্যাকসিন সমস্যা মেটাতে বড় উদ্যোগ ফিরহাদের
শিলাবতী নদীর বাঁধ ভেঙে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা দুই নম্বর ব্লকের অবস্থা খারাপ হয়েছে। আকতকোলা ও যদুপুরে ভাঙল শিলাবতী নদীর বাঁধ ভেঙে ৫০টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা প্রশাসনের। সাধারণ মোনুষকে উদ্ধারে এনডিআরএফের সাহায্য চাওয়া হয়েছে৷