কলকাতা: পাঁচ বছর আগে সেভাবে বাংলায় ছিল না বিজেপি। সেই দল এখন রাজ্যের বিরোধী। একজন বাদে বিধানসভায় শাসকদলের বিরোধী দলের বিধায়ক বিজেপির। রাজ্যের মাটি থেকে সেই উঠে যেতে পারে। এমনি আশঙ্কা প্রকাশ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন- ভেসেল চালকদের জন্য লাইসেন্স বাধ্যতামূলক, জলে নৌকা নামালেই ফিটনেস সার্টিফিকেট
বড় আশা জুগিয়েও বিধানসভা নির্বাচনে হতাশ হয়েছে বিজেপি। ২০০ আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসার দাবি করলেও পদ্ম শিবিরকে থামতে হয়েছে ৭৭ আসনে। নানাবিধ কারণে সেই সংখ্যাও কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এরই মাঝে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে তৈরি হয়েছে তীব্র গোষ্ঠী কোন্দল। যা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ববি।
আরও পড়ুন- ‘চললাম অলবিদা’, বাবুলের ফেসবুক পোস্টে তোলপাড় রাজনীতি
এই সকল কারণেই জন্য এখন দলের অন্দরেই গুরুত্বহীন হয়হে গিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই জায়গা এখন দখল করে ফেলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। যিনি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। এমনই মনে করছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছেন, “দিলীপ ঘোষকে এখন পাত্তা দেয় না বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারী গোটা বিজেপি রাজ্য পার্টির টাকে দখল করে নিয়েছে, দিলীপ ঘোষের কোন অস্তিত্ব থাকবে কিনা বোঝা যাচ্ছে না।”
আরও পড়ুন- নাবালিকার সঙ্গে সহবাসের ভিডিও নিয়ে ব্ল্যাকমেল, গ্রেফতার যুবক
এখানেই শেষ হয়ে যায়নি বিজেপির বিরুদ্ধে ফিরহাদের তোপ। তিনি বলেছেন, “শুভেন্দু অধিকারী এবং দিলীপ ঘোষের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে বিজেপির অন্দরে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। আগামী দিনে বিজেপি থাকবে কিনা তা নিয়ে অন্দেহ আছে। কারণ বিজেপির সবকিছুই দিল্লি থেকে পরিচালিত হচ্ছে।” বিজেপি সাংসদদের রাজ্যভাগের দাবিকে কটাখ করে ববি বলেছেন, “নিজেদের স্বার্থে এরা(বিজেপি) ফের বঙ্গভঙ্গের দাবি তুলেছে। বিজেপি বাংলা বিরোধী এবং দেশ বিরোধী দল।”
দেশ বাঁচাতে বিজেপি হঠানোর ডাক দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা। সেই লক্ষ্যে সকল বিরোধীদের একজোট হওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। দিল্লি সফরও করেছেন মমতা। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। যা নিয়ে ফিরহাদের প্রতিক্রিয়া, “সারা ভারত জুড়ে খেলা শুরু হয়ে গেছে এবার বিজেপিকে সাবধান থাকতে হবে। গোটা ভারতবর্ষের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাইছে। বিজেপি বিরোধী সমস্ত দল একসাথে কাজ করতে চাইছে।”
আরও পড়ুন- নেই পাকা রাস্তা, হাসপাতালে পৌঁছতে না পেরে সাপের কামড়ে মৃত্যু হকি খেলোয়াড়ের
সর্বভারতীয় হওয়ার লক্ষ্যে উত্তরপ্রদেশে কার্যালয় খুলেছে তৃণমূল। ত্রিপুরাতেও সংগঠন বিস্তারে মন দিয়েছে ঘাস ফুল শিবির। বিজেপি শাসিত ওই রাজ্যে আগামী ২০২৩ সালে ভোট রয়েছে। বাংলাভাষিদের রাজ্য ত্রিপুরায় জয় পাওয়া তৃণমূলের কাছে অনেকটাই সহজ। যা নিয়ে ববি বলেছেন, “ত্রিপুরাতে দরকার হলে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা রক্ত দেবে।”