বেলগাভি: নির্বাচনী জনসভায় ফের রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) আক্রমণ করলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আক্রমণের ভাষায় ফের হিন্দু-মুসলমান সুর নিহিত রইল। মোদি বলেন, রাহুল ভারতের মহারাজাদের অপমান করেন কিন্তু নবাব-বাদশাহদের অত্যাচার নিয়ে নীরব থাকেন।
কর্নাটকের বেলগাভিতে (Belgavi) আজ জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী। মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “কংগ্রেসের ‘শেহজাদা’ যেসব মন্তব্য করেছেন তা ভোটব্যাঙ্ক তোষণের জন্য ভেবেচিন্তেই করেছেন… কিন্তু নবাব-নিজাম-সুলতান-বাদশাহরা যে অত্যাচার চালিয়েছিলেন সে বিষয়ে একটা শব্দও বলেন না শেহজাদা… আমাদের হাজার হাজার মন্দির ধ্বংস করা আওরঙ্গজেবের অত্যাচার মনে রাখে না কংগ্রেস। আওরঙ্গজেবের যারা প্রশংসা করে সেই সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জট করে কংগ্রেস। যারা আমাদের তীর্থস্থান ধ্বংস করেছে, লুঠ করেছে, আমাদের লোকদের হত্যা করেছে, গোহত্যা করেছে, তাদের নিয়ে একটা কথাও বলে না ওরা।”
আরও পড়ুন: এমনকী চাণক্যকেও… ট্রোলিংয়ের মোক্ষম জবাব বোর্ড টপারের!
বিজেপি নেতারা রাহুল গান্ধীর ভাষণের এক ভিডিও শেয়ার করে চলেছেন। সেই ভিডিওর বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই মোদির এই আক্রমণ। ওই ভিডিওতে রাহুল বলেছিলেন, “রাজ, মহারাজাদের শাসনকালে তারা যা খুশি তাই করতে পারত এমনকী কারও জমিও ছিনিয়ে নিতে পারত। এই দেশের মানুষের সঙ্গে কংগ্রেস স্বাধীনতা পেয়েছে এবং গণতন্ত্র এনেছে।”
#WATCH | Karnataka: Addressing a public rally in Belagavi, PM Narendra Modi says, “… Shehzada of Congress says that the kings of India were atrocious. They snatched the assets of the poor as per their wishes. The Shehzada of Congress has insulted great personalities like… pic.twitter.com/DRLnoi2fsO
— ANI (@ANI) April 28, 2024
এদিকে মোদি এবং রাহুলের বিরুদ্ধে আদর্শ নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ গ্রহণ করেছে দেশের নির্বাচন কমিশন (ECI)। ২৯ এপ্রিলের মধ্যে এই মর্মে জবাব চাওয়া হয়েছে বিজেপি (BJP) এবং কংগ্রেসের (Congress) কাছে। লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকেই মোদি এবং রাহুলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভাঙার অভিযোগ এনেছে যথাক্রমে কংগ্রেস এবং বিজেপি।
সেই সব অভিযোগ গ্রহণ করেছিল কমিশন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda) এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে (Mallikarjun Kharge) এর জন্য জবাবদিহি করতে বলা হয়েছে। জবাব দেওয়ার সময়সীমা ২৯ এপ্রিল বেলা ১১টা। এই নোটিস দিতে গিয়ে কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনী প্রচারে উচ্চপদস্থ নেতাদের বক্তব্যের প্রভাব অনেক বেশি। বিবৃতি বলা হয়, “প্রার্থীদের আচরণের ব্যাপারে প্রাথমিক এবং ক্রমবর্ধমান দায়িত্ব নিতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে।”
দেখুন অন্য খবর: