নাগাল্যান্ডের উচ্চশিক্ষা এবং উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী তেমজিন ইমনা আলংকে দেখলেই আপনার হাসি পাবে। বিশাল বপু, খুদি খুদি চোখ, মুখে সবসময় মিটমিটে হাসি। কথাও বলেন জমিয়ে। তিনি যা বলেন, তাই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। তাঁর মজা করে কথা বলার ধরনটিও বেশ।
সম্প্রতি ফের তিনি সংবাদ শিরোনামে। এক অনুষ্ঠানে বিজেপি সরকারের এই তরুণ মন্ত্রী জনসংখ্যার কথা বোঝাতে গিয়ে তাঁর ১৯৯৯ সালের কথা মনে পড়ে যায়। আলং বলেন, সেই বছর প্রথম আমি দিল্লিতে যাই। পুরনো দিল্লি স্টেশনে নেমেই দেখি, লোক গিজগিজ করছে। দেখে মনে হল, এই যে এত লোক দেখছি, এর থেকে তো নাগাল্যান্ডের লোক সংখ্যা কম। দেখে আমার খুব খারাপ লাগল।
মন্ত্রী আরও বলেন, অনেক সময় লোকে আমার কাছে জানতে চায়, নাগাল্যান্ডটা ঠিক কোথায়। সেখানে যেতে গেলে ভিসা লাগে কি না, ইত্যাদি। তিনি সরস ভঙ্গিতে বলতে থাকেন, অনেকে তো এমন গুজবও ছড়ায় যে, নাগাল্যান্ডের লোক নাকি মানুষ খায়। আমার চেহারা দেখে অবশ্য খুব ভুল ভাবেনি তারা। তাঁর কথায়, আমাদের দেখতে আলাদা, খাদ্যাভাস আলাদা, চিন্তাধারা আলাদা। কিন্তু তবু আমরা ৫০-৬০ বছর ধরে একসঙ্গে আছি।
নাগাল্যান্ডের তরুণ মন্ত্রীর এই ভিডিয়োই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তাঁর টুইটের ভিউয়ার লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। অনেকে আলংয়ের ফ্যানও হয়ে গিয়েছেন। অবশ্য এই প্রথম নয়। আগেও তাঁকে নিয়ে নেটিজেনরা উচ্ছ্বসিত হয়েছেন। একবার তিনি উত্তর পূর্বের লোকেদের ছোট চোখ নিয়েও মজার মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আমাদের চোখ ছোট হতে পারে, কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গি প্রখর। মজাচ্ছলে তিনি সেবার বলেন, ছোট চোখ হওয়ার সুবিধাও আছে। প্রকাশ্যে দিব্যি ঘুমিয়ে নেওয়া যায় ছোট চোখের কারণে। ধরা পড়ারও ভয় থাকে না।