নয়াদিল্লি: শেষ হতে চলেছে সংসদের বাদল অধিবেশন। এই অধিবেশনের শুরু থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সংসদের দুই কক্ষ। পেগাসাস, কৃষি আইন-সহ নানাবিধ ইস্যু নিয়ে সরকারকে আক্রমণ করে বিরোধীরা। বিরোধীদের তাণ্ডবে সংসদের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে।
আরও পড়ুন- ভারত-পাক দ্বন্দ্বে সামিল হবে না তাঁরা, স্পষ্ট জানালেন তালিবান মুখপাত্র
এরই মাঝে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। রাজ্যসভার জারি করা পরিসংখ্যান বলছে যথেষ্ট ফলপ্রসূ অধিবেশন হয়েছে এই বাদলের মরশুমে। এই অধিবেশনের সাফল্যের হার ২৮ শতাংশ। আরও বড় বিষয় হচ্ছে এই বাদল অধিবেশনের সাফল্যের গড় হার আগের পাঁচটি অধিবেশনের থেকে ৯৫ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন- হিমাচলপ্রদেশের ধসে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা কেন্দ্রের
রাজ্যসভার পক্ষ থেকে পেশ করা পরিসংখ্যান বলছে, বিভিন্ন সময়ে মুলতুবি হয়ে গেলেও মোট ১৭ বার আলোচনা হয়েছে সংসদের উচ্চকক্ষে। মোট ১০২ ঘণ্টা আলোচনা হয়েছে। যার মধ্যে ২৮ ঘণ্টা ২১ মিনিট কাজ হয়েছে, অর্থাৎ সুস্থ আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাকি ৭৬ ঘণ্টা ২৬ মিনিট সময় নষ্ট হয়েছে বিরোধীদের তাণ্ডবের কারণে।
আরও পড়ুন- বিহারে উদ্ধার সাংবাদিকের পচাগলা দেহ, খুনের অভিযোগে গ্রেফতার দুই সাংবাদিক
এরই মাঝে ৪৫ শতাংশ সময়ে বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে সরকার। প্রশ্নোত্তর পর্বে ব্যয় হয়েছে ১৪ শতাংশ সময়। এক শতাংশ সময় গিয়েছে জিরো আওয়ারের বিতর্কে। এই অধিবেশনে বিভিন্ন সংসদীয় কমিটির ১৭টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই কাজ সম্পন্ন করতে লেগেছে ২৮ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট।
আরও পড়ুন- পুলিশ অফিসারের ঠোঁটে ঠোঁট রেখে কেক খাচ্ছেন পরিমণি, ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল
এই বাদল অধিবেশনে বিরোধীদের ক্রিয়াকলাপে চোখে জল এসে গিয়েছিল রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুর। তবুও সংসদের উচ্চকক্ষে ১৯টি বিল পাশ হয়েছে। সেই সঙ্গে চারটি নয়া বিল পেশ করা হয়েছে। আলোচনা ছাড়াই অতি অল্প সময়ে সরকার বিল পাশ করিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন কটাক্ষ করে বলেছিলেন যে পাপরি চাট হচ্ছে না বিল পাশ হচ্ছে! যা নিয়েও অনেক বিতর্ক হয়েছে। যদিও নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন ডেরেক।