কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: পাকিস্তানের মদতেই আফগানিস্তানে জমি শক্ত করছে তালিবান। আশরাফ ঘানি সরকারকে কোণঠাসা করতে সামরিক কূটনৈতিক মদত জোগাচ্ছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের সঙ্গে তালিবানের সম্পর্কে এমন কথাই চর্চিত হয়ে আসছে আন্তর্জাতিক মহলে। ভারত বহুদিন থেকেই এই অভিযোগ করে আসছে। এছাড়াও পাক তালিবান সম্পর্কে আঙ্গুল তুলেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমী জোট। কিন্তু এবার আফগানিস্তানে তালিবানের উত্থানের পেছনে পাকিস্তানের সমর্থনের তত্ত্বটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে খারিজ করল তালিবান।
বুধবার কাতার থেকে একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন তালিবানের মুখপাত্র সুহেল শাহিন। পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন আফগানিস্তানকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলা রেষারেষির অংশ হতে চায় না তালিবান। দোহা চুক্তির কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, তালিবান ক্ষমতায় এলে আফগানিস্তানের মাটি অন্য কোনও দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের বিমানবন্দরে রকেট হামলা তালিবানদের
তালিবানের উত্থানে পাকিস্তানের ভূমিকার প্রসঙ্গ কে কার্যত খারিজ করে দিয়ে তিনি বলেন, এখানে পাকিস্তানের কোনও ভূমিকাই নেই। আশরাফ খানি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে উত্তর দক্ষিণ পশ্চিম দেশের সমস্ত জায়গা থেকে মানুষ একত্রিত হয়েছে। এই যুদ্ধে পাকিস্তানের যুক্ত থাকার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে দাবি করেছেন তিনি।
#Exclusive: Talks with India on condition of “impartiality”, says Taliban spokesperson.
No talks have taken place between Indian and Taliban officials
Watch @Geeta_Mohan‘s #ReporterDiary #Afghanistan #Taliban #India pic.twitter.com/PmnoVdJK6g— IndiaToday (@IndiaToday) August 11, 2021
বেশ কিছুদিন আগেই প্রশ্ন উঠেছিল যুদ্ধে আহত তালিবানদের চিকিৎসার জন্য পাকিস্তানে সেনা সামরিক হাসপাতাল গুলিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জানি যথেষ্টই ধুন্ধুমার করে রাজনৈতিক মহলে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুহেল শাহীন বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। আমাদের এলাকায় যথেষ্ট পরিমান চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক রেডক্রস এর সহযোগিতায় হাসপাতালগুলো চলছে। এই বিষয়ে আমরা সমস্ত আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং রাষ্ট্রসংঘকে সহযোগিতা করছি।” তিনি আরও বলেন, “আমি বিগত ৪০ বছর ধরে জিহাদ লড়ছি। এই অভিযোগ ভারত থেকেও তোলা হয়েছে বহুবার। আমি স্পষ্ট ভাষায় জানাচ্ছি আফগানিস্তানকে বর্তমান শাসক দলের হাত থেকে মুক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য। ভারত পাকিস্তানের লড়াইয়ের অংশ আমরা কখনই হতে চাই না।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “ভারত যেভাবে ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, আমরাও সেই একই উদ্দেশ্যে লড়াই করছি।”
আরও পড়ুন: দরজায় তালিবান, আফগানিস্তান থেকে ভারতীয়দের ফেরাতে বিশেষ বিমানের তোড়জোড়
অন্যদিকে, বিদেশি সেনা সরতেই দখলদারির গতি বাড়াল তালিবান। দখল করে নেওয়া হয়েছে কাবুলের উত্তরে থাকা বাঘলান। এবার রাজধানী কাবুলের দিকে এগোচ্ছে তালিবানরা। ইতিমধ্যে তালিবানেরা আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি এলাকা দখল করে নিয়েছে৷ মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের আশঙ্কা, মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কয়েক মাসের মধ্যেই আফগানিস্তানের দখল তালিবান জঙ্গি গোষ্ঠীর হাতে চলে যেতে পারে৷