কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: মুহূর্তে মুহূর্তে বদলে যাচ্ছে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পট। কখনও একনাথ শিন্ডের শিবির দাবি করছে, তাদের সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিবসেনা বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। আবার কখনও উদ্ধব ঠাকরের শিবির বলছে, শেষ হাসি হাসবে তারাই। এনসিপি প্রধান এবং ২০১৯ সালে মহারাষ্ট্র বিকাশ অগাড়ি জোট সরকার গড়ার অন্যতম কারিগর শরদ পাওয়ার বৃহস্পতিবারই বলেন, এই সংকট থেকে জোট সরকার বেরিয়ে আসবেই। আমার অভিজ্ঞতা তাই বলছে। বিধানসভাতেই বোঝা যাবে, পাল্লা কোন দিকে। উদ্ধব শিবির বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পথে হাঁটছে।
বুধবার উদ্ধব শিবির একনাথকে সরিয়ে শিবসেনার পরিষদীয় দলনেতা করেছিল অজয় চৌধুরীকে। একনাথের দাবি, এটা অবৈধ কাজ। পাল্টা তিনি অন্য এক বিধায়ককে পরিষদীয় দলনেতা করেন। এর পরই উদ্ধব শিবির দাবি করে, যতক্ষণ স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকার একনাথ গোষ্ঠীকে বিধানসভায় স্বীকৃতি না দিচ্ছে, ততক্ষণ একনাথের কিছু বলারই অধিকার নেই বিধানসভা নিয়ে। তাছাড়া তাঁকে তো পদ থেকেই অপসারণ করা হয়েছে।
শিবসেনা বিধায়ক অজয় চৌধুরীকে পরিষদীয় দলনেতা করা হয়েছে বলে স্পিকার নরহরি জিরওয়ালকে চিঠিতে জানিয়েছেন। স্পিকার সেই ব্যাপারে অনুমোদনও দিয়েছেন। স্পিকারকে আরও জানানো হয়েছে, সুনীল প্রভুকে দলের চিফ হুইপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- Draupadi Murmu: দ্রৌপদী মুর্মুর মনোনয়নে প্রথম প্রস্তাবক মোদি?
আগেই শিন্ডে শিবির নির্দল এবং সেনা মিলিয়ে মোট ৩৪ জন বিধায়কের সমর্থন তাদের দিকে রয়েছে বলে স্পিকারকে জানিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, যে বিধায়কদের সই করা চিঠি দেওয়া হয়েছে, তাতে জালিয়াতি করা হয়েছে। স্পিকার সেগুলি খতিয়ে দেখবে। এরই মধ্যে শিবসেনা ১২ বিদ্রোহী বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ করার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ফলে তা নিয়ে আইনি লড়াই চলবে। সব মিলিয়ে টানটান উত্তেজনা এখন মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে।