মুম্বই: ঘটনার ঘনঘটা মহারাষ্ট্রে। একনাথ শিন্ডে-সহ বিদ্রোহী শিবসেনা মন্ত্রীদের দফতর কেড়ে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। সেই সব দফতর অন্য মন্ত্রীদের হাতে সোমবার তুলে দিয়েছেন উদ্ধব। একনাথের হাতে থাকা নগর উন্নয়ন এবং এমএসআরটিসি দফতর দেওয়া হয়েছে সুভাষ দেশাইকে। আর এক বিদ্রোহী মন্ত্রী গুলাবরাও পাতিলের দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অনিল পরবকে। এছাড়া উদয় সামন্ত, সন্দীপন ভূমারে দাদা ভুষের হাতে থাকা দফতরগুলি এখন থেকে সামলাবেন উদ্ধবের ছেলে আদিত্য ঠাকরে।
মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, উদ্ধব এবার সর্বশক্তি দিয়ে শিন্ডে বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে চান। গত সপ্তাহেই ১৬ জন বিদ্রোহী বিধায়কের সদস্যপদ কেন খারিজ করা হবে না, জানতে চেয়ে তাঁদের চিঠি দিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার নরহরি সীতারাম জিরওয়াল। সোমবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে ওই বিদ্রোহীদের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, তাঁরা সকলেই সময় চেয়েছেন। ডেপুটি স্পিকার কী করেন, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে মহারাষ্ট্রে।
এদিকে এদিন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় উদ্ধব এবং শিন্ডে গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। কোলাপুরের জয়সিংহপুরে বিদ্রোহী মন্ত্রী রাজেন্দ্র পাতিল এদরাওকর এবং উদ্ধবের সমর্থকদরে মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ চলে। পুণেতে শিবসেনা সমর্থকরা বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন। ব্যানারে বিদ্রোহীদের ছবিতে জুতো ছোড়া হয়। অনেক জায়গায় শিন্ডে এবং অন্য বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের কুশপুতুল পোড়ানো হয়েছে।
গত দুদিন ধরে উদ্ধবপন্থীরা হুমকি দিচ্ছেন, বিদ্রোহীরা মুম্বই ফিরলে বুঝতে পারবেন, কত ধানে কত চাল। উদ্ধবের ছেলে আদিত্য রবিবার বলেছেন, বিদ্রোহীরা যেন মনে রাখেন, তাঁদের মুম্বই ফিরতে হলে ওরলির রাস্তা ধরতে হবে। প্রসঙ্গত, অরলি শিবসেনা সমর্থকদের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। শনিবার শিন্ডে তাঁর সমর্থকদের থানেতে বিদ্রোহীদের সমর্থনে রাস্তায় নামতে নির্দেশ দেন। তবে তাতে তেমন কোনও সাড়া মেলেনি বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: Eknath Shinde: আজই সন্ধ্যায় মুম্বই ফিরছেন শিন্ডে, জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা বিদ্রোহী নেতাকে
শিন্ডে গোষ্ঠী সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে দুটি আবেদন নিয়ে। বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারকে সরানো এবং বিধায়কদের নিরাপত্তার দাবি জানানো হয়েছে ওই আবেদনে। শনিবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে শিন্ডে অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের নিরাপত্তা তুলে নিয়েছে। যদিও রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। এরই মধ্যে রবিবার ১৬ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক এবং তাঁদের পরিবারকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি।