কলকাতা: বিহারের বাহুবলী পাপ্পু যাদব বুধবার কংগ্রেসে যোগ দিলেন। এদিন পাটনায় প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে এআইসিসির পর্যবেক্ষক পবন খেরার উপস্থিতিতে পাপ্পু কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নেন। তাঁর দল জন অধিকার পার্টিকে কংগ্রেসের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন তিনি। মঙ্গলবার রাতেই পাপ্পু আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav) এবং তাঁর ছেলে তেজস্বীর সঙ্গে বৈঠক করেন। আর বুধবার তিনি যোগ দিলেন কংগ্রেসে।
পাপ্পুর স্ত্রী রঞ্জিতা রঞ্জন বহুদিন ধরে কংগ্রেসে। তিনি বর্তমানে ছত্তীশগড় থেকে কংগ্রেসের রাজ্যসভা সদস্য। বিহারের পূর্ণিয়া এলাকার বাহুবলী পাপ্পু এক সময় আরজেডির নেতা ছিলেন, ছিলেন লালুর খুব ঘনিষ্ঠ। সিপিএমের জনপ্রিয় নেতা অজিত সরকারের খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে লালুর সঙ্গে মতবিরোধের কারণে পাপ্পু আরজেডি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। পরে আবার আরজেডিতে ফিরে আসেন। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে মাধেপুরা আসনে তিনি জেডিইউ নেতা শরদ যাদবকে (Sharad Yadav) আরজেডি প্রার্থী হিসেবে পরাজিত করেন। পরের বছর অবশ্য আরজেডি থেকে তাঁকে লালু বহিষ্কার করেন। কংগ্রেস সূত্রের খবর, এবার পূর্ণিয়া লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিনি কংগ্রেসের টিকিটে লড়াই করতে পারেন।
আরও পড়ুন: রাহুলদের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা কারিজ দিল্লি হাইকোর্টে
এদিকে বিহারে রাজনৈতিক ডামাডোল চলছে। বিজেপি রাজ্যে আরএলজেপি দলকে একটিও আসন না ছাড়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেন ওই দলের প্রধান পশুপতিনাথ পারস। সোমবারই বিজেপি বিহারের আসন বণ্টন চূড়ান্ত করে। পারসের লড়াই ছিল তাঁর ভাইপো চিরাগ পাসওয়ানের সঙ্গে। চিরাগ হলেন প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ানের ছেলে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে রামবিলাসের দলের ছজন জয়ী হন বিহার থেকে। পরের বছর রামবিলাসের (Ram Vilas Paswan) মৃত্যুর পর দলের কর্তৃত্ব নিয়ে রামবিলাস এবং ভাইপো চিরাগের (Chirag Paswan) মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। সেই বিরোধ চলাকালীন ছয়জনের মধ্যে পাঁচ সাংসদই পারসকে সমর্থন করে নতুন দল গঠন করেন। একমাত্র সাংসদ থেকে যান চিরাগ। তিনি এনডিএ ছাড়তে বাধ্য হন। পশুপতিনাথের (Pashupathi Paras) দল এনডিএতে শামিল হয়। এবার বিজেপি পারসকে ছেড়ে চিরাগের পাশে দাঁড়ায়। তাঁকে পাঁচটি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়। পশুপতি নিজের কেন্দ্র এবং হাজিপুর কেন্দ্রটি চান। সেই দাবি মানতে চায়নি বিজেপি। তাঁকে রাজ্যপাল করারও প্রস্তাব দেয় বিজেপি। পশুপতি তা প্রত্যাখ্যান করেন। মঙ্গলবারই তিনি কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন।
অন্য খবর দেখুন