রিয়া মাজি, কলকাতা: নগরপালের করা নির্দেশের পর, কলকাতা পোর্ট ডিভিশনের ডিসি জাফর কিদওয়াই শুক্রবার রাতে বিশেষ অভিযান শুরু করেন। ঘুরে দেখেন পুরো পোর্ট ডিভিশন এলাকা। বেশকিছু এলাকাতে ট্রাফিক সার্জেন্ট দের সঙ্গে নিজে গাড়ি চেক করেন। দরকার ছাড়া রাস্তায় বেরোনা গাড়ি গুলোকে ধরপাকড় করেন এবং বাইরে বেরোনার সঠিক কারণ বা নথি না দেখাতে পারলে সে গুলোকে আটক করেন।
আরও পড়ুন- কবরের জায়গার অভাবের জেরে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ ১৮ মুসলিম পরিবারের
নাইট কারফিউকে আরও জোরদার করতে হবে। রাতের শহরে অতি মারি প্রতিরোধ আইন ভাঙতে দেওয়া চলবে না কাউকে। নাকা চেকিংয়ে বিশেষ জোর দিতে হবে। ব্লু বাতি গাড়ির তল্লাশি অভিযানও জারি রাখতে হবে। একইসঙ্গে রাতের এবং ভোরের নিরাপত্তার দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে, প্রয়োজনে সিকিউরিটি আরও বাড়াতে হবে। অতিরিক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা ইনস্টল করার কাজ দ্রুত সারতে হবে। শহর বিপদমুক্ত করে তুলতে হবে। ডিভিশনাল ডিসিদের নিয়মিত, তার নিজের ডিভিশন ঘুরে দেখতে হবে। রাতের নাকা তল্লাশি ঠিকঠাক ভাবে চলছে কিনা সেই দিকটাও নিশ্চিত করতে হবে। এমনই একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার।
আরও পড়ুন- কৃষিকাজে গরুকে অন্যত্র নিয়ে যেতে লাগবে প্রশাসনের অনুমতি, নয়া আইনে বিজেপির
চলতি সপ্তাহে, স্পেশাশ সিপি, অ্যাডিশনাল সিপি এবং জয়েন্ট সিপি দের নিয়ে দীর্ঘক্ষন বৈঠক করেন নগরপাল। আর সেই বৈঠক থেকেই কড়া নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। নাইট কারফিউ চলাকালীন প্রতিদিন বিশেষ নজরদারি চালাতে হবে পুলিশের সব উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের। এমনকি, থানা ও ট্রাফিক গার্ড গুলো নিজেদের কাজ ঠিকঠাক ভাবে পালন করছে কিনা, সেই দিকে নজর দিতে হবে।
আরও পড়ুন- বিজেপি’র মিছিলে থিকথিকে ভিড়, অতিমারি আইন নিয়ে অমিত শাহ্কে তোপ তৃণমূলের
লালবাজারের শীর্ষ কর্তাদের তিনি বলেন, সারপ্রাইজ ভিজিট করতে হবে, শহরের বিভিন্ন এলাকায়। এমনকি সারপ্রাইজ ভিজিটের সময় কোন সিনিয়র অফিসারের মুভমেন্ট জানবে না লালবাজার কন্ট্রোল রুম, কোন ট্রাফিক গার্ড বা কোন থানা। তাহলে থানা বা ট্রাফিক গার্ডের সেই সময় কর্মরত অফিসাররা আগে থেকেই সজাগ হয়ে যাবেন।
এই নির্দেশের পর পুলিশ কমিশনার নিজেই বেরিয়ে পড়েন সারপ্রাইজ ভিজিটে, তার নির্দেশ ঠিকঠাক পালন হচ্ছে কিনা দেখার জন্য। নিজেও সেই পদ্ধতি অবলম্বন করেন, তার মুভমেন্ট লালবাজার কন্ট্রোলরুম থেকে আরম্ভ করে ট্রাফিক গার্ড বা থানা কাউকে না জানিয়েই তিনি বেরিয়ে পড়েন সারপ্রাইজ ভিজিটে। অবশ্য, এর আগেও কাউকে কিছু না জানিয়েই ভোরের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে সাইকেল সফরে বেরিয়ে ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে গোহত্যা নিষিদ্ধ অসমে
সূত্রের খবর, এর আগেও বিভিন্ন সময় নগরপালকে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন ডিভিশনাল অফিস, কখনো বা থানা গুলোতে তিনি সারপ্রাইজ ভিজিট করেন।