জম্মু ও কাশ্মীর: জঙ্গি যোগসূত্র খুঁজতে উপত্যকায় জামাত –ই-ইসলামির বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান চালাল এনআইএ NIA । নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাতে জঙ্গি সংগঠনকে আর্থিক সহায়তার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে শ্রীনগর-সহ ১৪ জেলার ৪৫ জায়গায় তল্লাশি শুরু করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। আবদুর রহমান শাল্লা নামে সংগঠনের এক নেতাকে গ্রেফতার করে এনআইএ। জঙ্গি সংগঠনের বিচ্ছিন্নতাকামী ও নাশকতামূলক কাজে সমর্থনের জন্য ২০১৯ সালেই জামাত-ই-ইসলামি সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এনআইএ সূত্রের খবর, নতুন করে সংগঠনটি সক্রিয় কার্যকলাপের শুরু করেছে কাশ্মীরে। তাতেই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, সিআরপি জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে রবিবার সকালে তল্লাশি অভিযানে নামেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ উদ্যোগে এদিন জামাত-ই-ইসলামের জেলা প্রধান গুল মহম্মদ ওয়ারের বাড়ি সহ সংগঠনের একাধিক সদস্যের ডেরায় তল্লাশি চালায়।
আরও পড়ুন:রাজস্থানে ভয়াবহ পথ দূর্ঘটনায় মৃত ৫, জখম ৩, শোকপ্রকাশ গেহলটের
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সকাল থেকেই শ্রীনগর, বদগাম, বারামুল্লা, কুপওয়ারা, বন্দিপোরা, অনন্তনাগ, সোপিয়ান, পুলওয়ামা, কুলগাম, ডোডা, কিস্তওয়ার, রাজৌরি-সহ একাধিক জেলায় তল্লাশি চলছে। উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়তে থাকায় পর পর সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযান চলেছে। এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে একাধিক লস্কর জঙ্গির। সম্প্রতি লস্কর-ই-মুস্তাফার শীর্ষ নেতা হিদায়াতুল্লা মালিককে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকেও প্রচুর বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। ফের নাশকতার ঘটনা ঠেকাতে এবার জামাত-ই-ইসলামকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।