সামশেরগঞ্জ: প্রধান করার লোভ দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের নিমতিতার তৃণমূল(TMC) কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি সামিউল হক এবং প্রধান মইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করে বিষ খেয়ে (Consuming Poison) আত্মহত্যা করলেন নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল (Panchayat) সদস্য মালা হালদারের স্বামী বিশ্বনাথ হালদার। তিনি নিজেও তৃণমূলের স্থানীয় নেতা ছিলেন। মঙ্গলবার এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় ওই এলাকায়। যদিও সামিউল এবং মইদুল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। অঞ্চল সভাপতি সামিউলের দাবি, বরং তিনি বিশ্বনাথকে বিভিন্ন ভাবে আর্থিক সাহায্য করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন বিশ্বনাথ। সেই পোস্টে তিনি তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সামিউল হকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। তিনি ওই ভিডিয়োতে জানান, স্ত্রী মালা হালদারকে প্রধান করার আশ্বাস দিয়ে তাঁর কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে। সেই টাকা জোগাড় করতে স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের গয়না বিক্রি করেছেন এবং লোকজনের থেকে টাকা ধার করেন। ওই ভিডিয়োতে বিশ্বনাথের আরও অভিযোগ, এসবের পিছনে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সামিউল হক, বর্তমান প্রধান মইদুল ইসলাম, দুই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য আজফারুল হক ও তাজামুল হকের হাত রয়েছে। এছাড়াও আরও দুজন এই ঘটনায় জড়িত বলে তাঁর দাবি।
আরও পড়ুন: Recruitment Scam | CBI | টেটে চাকরি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে পুর্ণাঙ্গ তালিকা চাইল সিবিআই
পরিবার সূত্রে খবর, এই ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশের পর বিশ্বনাথ কীটনাশক খান।তাঁকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার সকালে বিশ্বনাথের মৃত্যু হয়। তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বিশ্বনাথের আত্মহত্যার ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে সামশেরগঞ্জের রাজনৈতিক মহলে।