চণ্ডীগড়: মালিক নরেশকে কাঁদিয়ে ইহলোকের মায়া ত্যাগ করল সুলতান। আট বছর আগে যার দাম উঠেছিল ২১ কোটি টাকা। যার পিছনে দৈনিক বিপুল টাকা খরচ করতেন নরেশ বেনিওয়াল। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার দেহ রেখেছে সেই প্রিয় সুলতান।
হরিয়ানার কৈথলের বুড়াখেড়া গ্রামের বাসিন্দা নরেশ বেনিওয়াল। যার প্রিয় মোষ ছিল সুলতান। খুব ছোট থেকে ওই মোষকে প্রতিপালন করে বড় করেছিল সে। দৈনিক সুলতানের জন্য প্রিয় খাবারের ব্যবস্থা করা হতো। দুধ, ঘি ছিল সুলতানের প্রিয় খাবার। সেই সঙ্গে ২০ কিলো গাজর, ১০ কিলো সবজি এবং ১২ কিলো পাতা খেত সুলতান।
আরও পড়ুন- গান্ধি জয়ন্তীতে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার দাবি প্রভাবশালী সন্ন্যাসীর
সেগুলি ছাড়াও নিত্যদিন সন্ধ্যায় সুলতানের মদ্যপানের ব্যবস্থাও করতে হতো নরেশ বেনিওয়ালকে। সেই প্রিয় সুলতান মঙ্গলবার আচমকা প্রাণ হারায়। চিকিৎসকদের মতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মারা গিয়েছে সুলতান। ৬ ফুট দৈর্ঘ্যের এবং দেড় টন ওজনের ওই মোষ ২০১৩ সালে সর্বভারতীয় পশু সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় ঝাঝর, কারনাল এবং হিসারে জয়ী হয়েছিল। সেই সময়ে নরেশ বেনিওয়ালের প্রতিপালন করা মোষের দাম ওঠে ২১ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন- ভোটের আগে নাবালকদের মাধ্যমে মুসলিম বিদ্বেষের প্রচার উত্তরপ্রদেশে
বিপুল খরচ করে মোষ প্রতিপালন করা নরেশের উপার্জন কিছু খারাপ ছিল না। ওই সুলতানের মাধ্যমেই প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করতো নরেশ। কারণ বাজারে সুলতানের বীর্যের মারাত্মক চাহিদা ছিল। অরতি বছর সুলতানের প্রায় ৩০ হাজার ডোজ বীর্য বিক্রি করতেন নরেশ। প্রতি ডজ বীর্যের দাম ছিল প্রায় ৩০৬ টাকা। প্রিয় সুলতানকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন মালিক নরেশ বেনিওয়াল।