নয়াদিল্লি: শিল্পপতিদের দল হিসেবে ‘সুনাম’ রয়েছে বিজেপির। বিভিন্ন শিল্প গোষ্ঠীদের থেকে আর্থিক সাহায্য নিয়ে নিজেদের তহবিল ভরিয়েছে পদ্ম শিবির। সাম্প্রতিক অতীতে আম্বানি-আদানিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে সরকারের। যা নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। এরই মাঝে ওপর শিল্প গোষ্ঠী টাটাকে ‘দেশ বিরোধী’ বলে তোপ দাগলেন মোদির মন্ত্রী।
আরও পড়ুন- কোচবিহার থেকে কলকাতা, রাজ্যজুড়ে পালিত হল ৮’ম কন্যাশ্রী দিবস
আলোচিত ব্যক্তি হলেন মোদির ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পীযুষ গোয়েল। যিনি এই মুহূর্তে বাণিজ্য-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন। আগে রেলমন্ত্রী ছিলেন তিনি। সেই মন্ত্রীর মুখে শোনা গিয়েছে টাটা গোষ্ঠীর প্রতি বিদ্বেষ। তিনি জানিয়েছেন যে বিদেশী সংস্থা কিনে দেশকে ভুলে যাচ্ছে টাটা গোষ্ঠী। যা ‘দেশ বিরোধিতা’র সমতুল।
আরও পড়ুন- কন্যাশ্রী দিবসে পাঁচ হাজার টাকায় কন্যা সন্তানকে বিক্রি, মাকে জেরা পুলিশের
খুব স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মুখে এই ধরণের মন্তব্য ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। পীযুষের ওই মন্তব্যের পরেই আলোচনা শুরু হয়েছে বিজেপির জন্য কত টাকা চাঁদা দিয়েছে টাটা গোষ্ঠী। সেই সঙ্গে বিজেপি রিলায়েন্স ছাড়া অন্যন্য শিল্প গোষ্ঠীদের দেওয়া চাঁদার পরিমাণ নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। বিনিময়ে তাঁদের লাভক্ষতির হিসেব নিয়েও শুরু হয়েছে চর্চা।
আরও পড়ুন- মোদি সরকারের বিদেশনীতি চূড়ান্ত ব্যর্থ, আফগানিস্তানের দখল নিচ্ছে তালিবান
২০১৮-১৯ সালে টাটা গোষ্ঠী বিজেপিকে ৩৫৬ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছিল। আর কংগ্রেসকে দিয়েছিল মাত্র ৫৫ কোটি টাকা। যা বিজেপিকে দেওয়া চাঁদার মাত্র ১৫ শতাংশ। কিন্তু টাটাদের টেলিকম এবং এয়ারলাইন্সের ব্যবসার স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছে। অন্যদিকে, সুনীল ভারতী মিত্তাল এবং বিড়লা ২০১৪ সালে ৫৯৪ কোটি টাকা দিয়েছিল বিজেপিকে। যা তাঁদের মোট দেওয়া চাঁদার ৮২ শতাংশ। বাকী ১৮ শতাংশ কংগ্রেস, তৃণমূল, বিজেডি, আপ প্রভৃতি দল পেয়েছিল। তাঁদের টেলিকম ব্যবসা(এয়ারটেল-আইডিয়া) ধুঁকছে।
আরও পড়ুন- চাকরি খুইয়ে যোগীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হচ্ছেন পুলিশ অফিসার
২০১৯-২০ সালে রাজনৈতিক বন্ডের অধিকাংশই গিয়েছিল বিজেপির ঝুলিতে। মোট ৩৪৪১ কোটি টাকা রাজনৈতিক বন্ড সংগ্রহ করেছিল দলগুলি। যার ৭২ শতাংশ নিজেদের ঝুলিতে নিতে সক্ষম হয়েছিল বিজেপি। যার পরিমাণ ২৫৫৫ কোটি। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে বিজেপির হাতে ছিল ১৯০৫ কোটি টাকা। এক বছর পরে সেই সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৩৫৫৫ কোটি টাকাতে।