কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: পেগাসাস ইস্যুতে তোলপাড় দেশ। তার মাঝেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানালেন, মানুষের জীবনে অপ্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ করা সরকারের উচিৎ নয়। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য এটা বন্ধ করতে হবে। ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে লালকেল্লায় রবিবার ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই এই মন্তব্য করেন নরেন্দ্র মোদি। তবে কি নরেন্দ্র মোদি পেগাসাস ইস্যু স্বীকার করে নিলেন, শুরু হয়েছে জল্পনা।
আরও পড়ুন: রেড রোডে ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এদিন তিনি জানান, প্রতিটি মানুষের কাছে সমস্ত পরিষেবা যাতে পৌঁছয় তা নিশ্চিত করতে হবে। এরপরই তিনি বলেন জাতির সামগ্রিক উন্নয়ন করতে গেলে সমস্ত ধরনের অপ্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে সরকারকে। পেগাসাস নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে সারা দেশে। উত্তাল বাদল অধিবেশন। বিরোধীরা কাঠগড়ায় তুলেছে মোদি সরকারকে। মামলা উঠেছে সুপ্রিম কোর্টে। অভিযোগ, নজরদারি চালানোর জন্য ইজরায়েলিয় পেগাসাস স্পাইওয়্যার কিনেছিল মোদি সরকার।
আরও পড়ুন: “দেশ নেহরু ও প্যাটেলের কাছে ঋণী “, লালকেল্লায় স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
এর মাধ্যমে, সাংবাদিক, বিরোধী দলের নেতার পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের একাধিক বিচারপতির বিরুদ্ধে নজরদারি চালানোর অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। গত ১৮ জুলাই ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ান এই খবর প্রকাশ করে। এই অভিযোগ সামনে আসতেই তোলপাড় পড়ে যায় দেশের রাজনৈতিকমহলে। এর উত্তরে কেন্দ্রীয় সরকারের সাফাই, ভারতীয় গণতন্ত্রকে কলুষিত করার জন্যই এমন রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সংবাদ মাধ্যমগুলি। এই বিষয় নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর লালকেল্লার ভাষণে এদিন এই মন্তব্য করলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস, ২০১৪ থেকে ২০২১ অষ্টমবার লালকেল্লায় ভাষণ প্রধানমন্ত্রীর
সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৫০ হাজার ফোন নম্বরের তথ্যভাণ্ডার প্রকাশ্যে এসেছে। এই নম্বরগুলিতে ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও-র তৈরি সফটওয়্যারের মাধ্যমে আড়ি পাতা হয়েছে বলে অভিযোগ। নিরাপত্তার স্বার্থে সকলের নাম প্রকাশ করা হয়নি। এই স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে ফোনে কী কথাবার্তা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপে কী আদান-প্রদান হয়েছে, ফোনে কী তথ্য, নথি, ছবি রয়েছে সেটাও দেখা হয়েছে। অথচ যাঁর মোবাইল হ্যাক করা হয়েছে, তিনি জানতেই পারেননি।