নয়াদিল্লি: করোনা চিকিৎসায় গেমচেঞ্জার হতে পারে ভারতে তৈরি অ্যান্টি কোভিড পিল। সিএসআইআর-এর কোভিড স্ট্র্যাটেজি গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. রাম বিশ্বকর্মা সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে একথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কয়েকদিনের মধ্যেই আপৎকালীন ক্ষেত্রের ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র পেতে পারে ‘মলনুপিরাভির’ নামক পিল। মৃদু থেকে মাঝারি সংক্রমণের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা যাবে। দেশেই তৈরি হচ্ছে এই পিল। হাসপাতালে ভর্তি থেকে বাঁচাতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা নেবে ‘মলনুপিরাভির’।
বিশ্বকর্মা জানান, ‘মলনুপিরাভির’ ব্যবহারে শীঘ্রই ছাড়পত্র মিললেও ফাইজারের তৈরি পিল ‘প্যাক্সলোভিড’ ব্যবহারের জন্য আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। এই দুটি ওষুধ বাজারে এলে তা করোনা নির্মুল করতে ভ্যাকসিনের থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। কোভিডের কফিনে শেষ পেরেক পুঁততে পারে এই দুটি পিল। পর্যাপ্ত সংখ্যায় ‘মলনুপিরাভির’ উৎপাদন হচ্ছে। দেশের ৫টি কোম্পানি এই ওষুধ তৈরি করছে। আমার মনে হয় যে কোনও দিন ‘মলনুপিরাভির’ ব্যবহারে ছাড়পত্র মিলতে পারে।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় ‘অ্যান্টিভাইরাল পিল’ সেবনের অনুমতি যুক্তরাষ্ট্রে
‘মলনুপিরাভির’ এর ছাড়াও আলোচনায় রয়েছে আরও একটি পিল। তা হল- ‘প্যাক্সলোভিড’। ভ্যাকসিনের পর এ বার পিলের বাজার ধরতে মরিয়া ফাইজার। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ক্লিনিকাল ট্রায়াল অনুসারে ‘প্যাক্সলোভিড’ ঝুঁকিপূর্ণ প্রাপ্তবয়স্কদের হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর ঝুঁকি ৮৯ শতাংশ কমিয়ে দেয়। রাম বিশ্বকর্মা বলেন, প্রাথমিক ভাবে পিলগুলির দাম কিছুটা বেশি হতে পারে। তবে ভারত সরকার এই পিল ব্যবহারে ছাড়পত্র দিলে সরকারই কোম্পানিগুলির কাছ থেকে একসঙ্গে প্রচুর পরিমান পিল কিনবে। সেক্ষেত্রে দাম অনেকটাই কম পড়বে।
কী রকম দাম হতে পারে অ্যান্টি কোভিড পিলের? বিশ্বকর্মা বলেন, প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসার প্রতি ধাপে খরচ পড়তে পারে ২০০০ থেকে ৪০০০ টাকা। পরে তা ৫০০ থেকে ১০০০ এর মধ্যে নেমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: Covid 19: করোনার তৃতীয় ঢেউ থেকে বাঁচতে এই নিয়মগুলো মেনে চলুন