কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: করোনা মোকাবিলায় বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ ভ্যাকসিন ড্রাইভ চালাচ্ছে৷ কিছু কিছু দেশ নাগরিকদের ভ্যাকসিন প্রদানের পর্ব প্রায় সেরে ফেলেছে৷ এরকম সময়ে ব্রিটেন (যুক্তরাষ্ট্র)সরকার করোনা মোকাবিলায় অ্যান্টিভাইরাল পিলের অনুমোদন দিল৷ বৃহস্পতিবার এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷ যা বিশ্বের প্রথম দেশ যারা করোনা মোকাবিলায় অ্যান্টিভাইরাল পিল সেবনের অনুমতি দিয়েছে৷
অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি বলা হয়েছে, মলনুপিরাভির ট্যাবলেটটি দুর্বল রোগীদের দিনে দুবার সেবন করানো হবে৷ যাদের সম্প্রতি করোনা নির্ণয় করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব সাজিদ জাভিদ বলেন, যুক্তরাজ্যে করোনার ধরণ অনুযায়ী একটি ওষুধ অনুমোদন দিয়েছে৷ করোনা মোকাবিলায় বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে করোনার নতুন চিকিৎসা শুরু করছে৷ “গেমচেঞ্জার” হবে।এই অ্যান্টিভাইরাল ট্যাবলেটটি মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট রেগুলেটরি এজেন্সি (MHRA) মার্ক এবং রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিকস দ্বারা যৌথভাবে তৈরি করা হয়েছে৷
চলতি বছর জানুয়ারি মাসে কলোম্বিয়ায় করোনার (Corona) এই ভ্যারিয়েন্ট-এর হদিশ পাওয়া যায়। দক্ষিণ আমেরিকার বেশ কিছু দেশে এবং ইউরোপেও এটি মিলেছে। হু জানিয়েছে, ‘মিউ-র ভিতরে সীমাহীন মিউটেশন ঘটেছে। ফলে এটিকে ভ্যাকসিনের মাধ্যমে কতটা ঠেকানো যাবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
৩১ অগস্ট হু-র প্রকাশিত সাপ্তাহিক অতিমারি বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘মিউ-র ভিতরে সীমাহীন মিউটেশন ঘটেছে। সে কারণেই আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভ্যাকসিনের ক্ষমতা ভেদ করার কৌশল ‘মিউ’ এর আয়ত্তে চলে এসেছে।’ মিউয়ের মিউটেশন এবং সংক্রমণ ক্ষমতা বিশদে জানার জন্য আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন: Covid 19: করোনার তৃতীয় ঢেউ থেকে বাঁচতে এই নিয়মগুলো মেনে চলুন
হু-র তালিকায় ডেল্টা, আলফা-সহ চারটি ‘ভেরিয়েন্ট অব কনসার্ন’ রয়েছে। ১৭০টি দেশে ছড়িয়েছে ডেল্টা। আলফার দেখা মিলেছে ১৯৩টি দেশে। মিউ অবশ্য এখনও সে ভাবে ছড়ায়নি। গবেষকরা জানিয়েছেন, যে সমস্ত এলাকায় টিকাকরণ কম হয়েছে বা একেবারেই হয়নি, সেখানে মিউ হানা দিতে পারে।