কলকাতা: সোমবারই কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে নিজের ইস্তফার কথা জানিয়েছিলেন। দলের উন্নতির কোনও আশাই তিনি দেখছেন না বলে দাবি করেছেন ওই চিঠিতে। বোঝাই যাচ্ছিল, তাঁর দলবদল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। সেই জল্পনার অবসান। বুধবার তৃ্ণমূলে যোগ দিচ্ছেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিধায়ক লুইজিনহো ফালেরিও।
গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো এই মুহূর্তে ওই রাজ্যের নাভেলিম কেন্দ্রের বিধায়ক। ২০১৭ সালে কংগ্রেসের টিকিটে জিতেই বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। বছর ঘুরলেই ভোট। তার আগে দলদবদল করে তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখাতে চলেছেন তিনি। ঘাস ফুল শিবিরের দাবি, দীর্ঘ দিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন এই কংগ্রেস বিধায়ক।
আরও পড়ুন: এবার গোয়া দখলের লক্ষ্যে ময়দানে তৃণমূল
সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা শোনা গিয়েছিল তাঁর গলায়। তিনি বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই একমাত্র মানুষ, যিনি নরেন্দ্র মোদিদের কঠিন লড়াইয়ে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন। তিনি একজন লড়াকু যোদ্ধা। আগামী লোকসভা নির্বাচনে মোদিকে সরাতে কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলোকে মমতার ‘ফর্মুলা’ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ লুইজিনহো ফালেরিও দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত রয়েছেন কংগ্রেসের সঙ্গে। গোয়ার নাভেলিম কেন্দ্র থেকে সাত বার জিতে বিধায়ক হয়েছেন তিনি। দুই দফায় মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যে কংগ্রেসের সাংগঠনিক দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বেই উত্তর-পূর্বের একাধিক রাজ্যের ক্ষমতা দখল করে কংগ্রেস। ২০১৩ সালে কর্ণাটকে কংগ্রেসের সরকার গঠনের পিছনেও লুইজিনহো ফালেরিও-র বড় হাত ছিল।
আরও পড়ুন: সিলেবাসে সাভারকার-গোয়ালকারের লেখা, সিপিএম শাসিত কেরলে তুমুল বিতর্ক
২০২২’র ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন গোয়ায়। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির মত আরব সাগরের তীরে ছোট্ট রাজ্যটিকেও পাখির চোখ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যে ঘুঁটি সাজানোও শুরু করেছে তৃণমূল। সম্প্রতি গোয়ার হাবভাব বুঝতে সে রাজ্যে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি বিজেপি শাসিত গোয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই গ্রাউন্ড ওয়ার্ক শুরু করে দিয়েছে পিকের দল।