তিরুঅনন্তপুরম: ভগবানের দেশের পাঠক্রম নিয়ে বিতর্ক। কমিউনিস্ট শাসিত কেরলের সিলেবাস নিয়ে বিতর্ক। শিরোনামে কেরলের কান্নুর বিশ্ববিদ্যালয়।
কান্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর বা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট সিলেবাসে, বীর দামোদর সাভারকার এবং এম এস গোয়ালেকারের রাজনৈতিক অবদান নিয়ে বেশ কিছু লেখা অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। আর তাতেই তৈরি হয়েছে তুমুল বিতর্ক। সিপিএম শাসিত রাজ্যে কীভাবে সংঘ পরিবারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত মনীষীদের রাজনৈতিক অবদান পাঠ্যসূচিতে যুক্ত করা হল? শিক্ষাবিদদের একাংশ এ প্রশ্ন তুলছেন। এ প্রশ্ন তুলছে ছাত্রদের একাধিক সংগঠন।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশের ডাক্তারি সিলেবাসে জায়গা পেল হেগড়েওয়ার-দীনদয়াল উপাধ্যায়-আম্বেদকর
মাস্টার অফ আর্টস বা কলা বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির সিলেবাস নিয়েই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। কেরলের কান্নুরের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে, কলা বিভাগের পড়াশোনায় যুক্ত করা হয়েছে কট্টর হিন্দুত্বপন্থী সংঘ নেতা বীর সাভারকারের নাম। সাভারকারের একটি লেখা, ‘হিন্দুত্ব: কে প্রকৃত হিন্দু’ সিলেবাসে যুক্ত করা হয়েছে। যুক্ত করা হয়েছে গোয়েলকারের একটি লেখাও। লেখাটির নাম ‘বাঞ্চ অফ থটস’ বা চিন্তার ডালপালা। দীনদয়াল উপাধ্যায়ের একটি লেখাও কলা বিভাগের নতুন সিলেবাসে যুক্ত করা হয়েছে। আর এতেই বিতর্ক কমিউনিস্ট শাসিত কেরলে।
কংগ্রেস প্রভাবিত কেরলের ছাত্র সংগঠন বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ দেখায়। সিলেবাসের কপি পুড়িয়ে দেয়। ছাত্রদের অভিযোগ সিপিএম নিয়ন্ত্রিত বিশ্ববিদ্যালয় সংঘ পরিবারের অ্যাজেন্ডা চালু করতে চাইছে। যুব কংগ্রেসের নেতা রিজিল মুক্কুট্টির বক্তব্য, ‘এটাতেই প্রমাণ হয় যে কেরলের উচ্চশিক্ষা মহল সংঘ পরিবারের হাতে নিয়ন্ত্রিত। পিনারাই বিজয়নের সরকারে, শিক্ষার গৈরিকীকরণের বিরোধিতায় তাদের লড়াই জারি থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে কেরলের যুব কংগ্রেস।’
আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে পাঠ্যসূচি থেকে বাদ রবীন্দ্রনাথ, পড়তে হবে রামদেব
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোপীনাথ রবীন্দ্রনের দাবি, ‘ছাত্র এবং শিক্ষাবিদদের একাংশের দাবি সম্পূর্ণ ভুল। সিলেবাস তৈরির সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক মতবাদ এবং দর্শনের দিকটি মাথায় রাখা হয়েছে।’