নয়াদিল্লি: সোমবার সন্ধেয় তুমুল ঝড়বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত নয়াদিল্লির একাধিক এলাকা। প্রায় তিনশো গাছ উপড়ে পড়েছে রাস্তায়। ভেঙে পড়েছে একাধিক বাড়ি। ১০০ কিলোমিটার বেগে আসা ঝড় প্রাণ কেড়েছে দুই দিল্লিবাসীরও। দমকা হাওয়ায় ভেঙে পড়ে দিল্লির ঐতিহাসিক জামা মসজিদের বেশ কিছুটা অংশ। সূত্রের খবর, মসজিদের মাঝের গম্বুজটির চূড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তীব্র গরমের পর সোমবার সকাল থেকেই মুষলধারায় বৃষ্টি হয়েছিল দিল্লির বিভিন্ন এলাকায়। আচমকাই তুমুল বৃষ্টির জেরে ভেঙে পড়ে জামা মসজিদের মূল গম্বুজের চূড়ার কিছুটা অংশ। মসজিদের কাছে একটি বাড়ির ব্যালকনি ভেঙে পড়ে মৃতু হয়েছে ৫০ বছর বয়সি এক ব্যক্তিরও। দিল্লির অঙ্গুরি বাগে গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হয় বসির বাবা নামে আরও এক ব্যক্তির। দিল্লি প্রশাসন সূত্রে খবর, এই ঝড়ে মূল ক্ষতি হয়েছে নয়াদিল্লি এবং মধ্য দিল্লির।
আবহাওয়া দফতরের আগেই ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল। কিন্তু দু’ঘণ্টার মধ্যে মিনিট পনেরোর ঝড়ে একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, ২০১৮ সালের পর এই প্রথম এত তীব্র ঝড় দিল্লির উপর বয়ে গেল। বর্ষার আগে এমন ঝড় তিন-চার বছর পর পর দেখা যায়।
সোমবার সন্ধের পর হঠাৎ ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়। পূর্বদিল্লি এবং মধ্য দিল্লিতে রাস্তায় আছড়ে পড়ে একের পর গাছ। প্রায় ৩০০ টি গাছ পড়ে যাওয়ায় প্রবল যানজট সৃষ্টি হয়। গাছ চাপা পড়ে পার্কিং লটে থাকা গাড়িগুলি দুমড়ে মুচড়ে যায়। একাধিক বাড়ির টিনের ছাদ উড়ে যায়। চরম দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। এমনকি বাতিল করা হয় উড়ান পরিষেবাও।
আরও পড়ুন: Weather Update: বিকেলের পর থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস, দিনভর থাকবে অস্বস্তি
১৯৯৬ সালের মে মাসের পর এই প্রথম রেকর্ড তাপমাত্রা বেড়েছিল রাজধানীতে। বেশ কয়েক জায়গায় তাপমাত্রা ছুঁয়েছিল ৪৫ ডিগ্রির উপরে। এই দাবদাহ থেকে আচমকাই মুক্তি মেলে সোমবার।