কলকাতা টিভি ওয়েবডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রধানমন্ত্রী ভাষণ রাখেন লালকেল্লায়। সেখানে প্রচুর মানুষের সমাগম হয় সেদিন। নিরাপত্তাও থাকে আঁটোসাঁটো। কিন্তু এবার স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে লালকেল্লা চত্বরে নিরাপত্তা নিয়ে একটু বেশি কড়াকড়ি দেখাল দিল্লি পুলিশ ও প্রশাসন। নিরাপত্তা মজবুত করতে লালকেল্লা চত্বরে মুড়ে ফেলা হয় মালবাহী জাহাজের কন্টেনার দিয়ে টাওয়ারের মতো উঁচু উঁচু পাঁচিল ঘিরে ফেলা হল গোটা চত্বর। যার উদ্দেশ্য একটাই, কোনওভাবেই যাতে আন্দোলনরত কৃষকেরা স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বিঘ্ন ঘটাতে না পারেন। এইবছর প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে কৃষক পুলিশ সংঘর্ষের কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরণের হুমকি ইমেল আল-কায়েদার, নিরাপত্তা আঁটোসাটে দিল্লি বিমানবন্দরে
শুধু কৃষকদের বিক্ষোভ কিংবা ট্রাক্টর মিছিল নয়। সম্প্রতি একাধিকবার রাজধানীর বুকে ড্রোন কার্যকলাপের থেকে লালকেল্লা চত্বরকে সুরক্ষিত করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে দিল্লি পুলিশ প্রশাসন।
প্রতিবছরই ১৫ ই অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সে অনুষ্ঠান দেখতেই সমাগম হয় বহু মানুষের। ছাত্র-ছাত্রীরাও যেমন থাকে তেমনই থাকেন দেশ-বিদেশের অতিথি ও কূটনীতিকেরা। তাই নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক ভাবেই বড় একটি ইস্যু।
উল্লেখ্য, এই বছরের গোড়ায় ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন লালকেল্লায় বিক্ষোভ দেখান কৃষকেরা। কেন্দ্রের কৃষি বিলের বিরোধিতা করতে গিয়ে সেদিন হিংসাত্মক আকার ধারণ করে কৃষকদের আন্দোলন। লালকেল্লার উঠে শিখদের পতাকা লাগানোর ঘটনা ঘটে। আর যার প্রভাব পড়ে গোটা দেশের রাজনীতিতে। এই ঘটনা যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়তে হয় কেন্দ্রে মোদী সরকারকে।
আরও পড়ুন: জঙ্গি মদতের অভিযোগে জামাতের ডেরায় এনআইএ (NIA) অভিযান, গ্রেফতার ১
গত মাস থেকেই দিল্লির যন্তর মন্তরে কেন্দ্রের কৃষি বিলের বিরোধিতা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে কৃষকেরা। সেখানে নিয়মিত চলছে কিষান সংসদ। কৃষিবিল ইস্যুতে তুলোধোনা করা হচ্ছে মোদি সরকারের। যদিও কিছুদিন আগেই স্বাধীনতা দিবসের দিন ট্রাক্টর মিছিলের আহ্বান জানিয়েছিলেন কৃষকনেতা রাকেশ টিকাইত। হরিয়ানা উত্তরপ্রদেশ শের কৃষকদের ট্রাক্টর নিয়ে রাজধানীতে আসার আহ্বান জানান তিনি। আর তারপর থেকেই ট্রাক্টর মিছিলের তোড়জোড় শুরু করে কৃষক সংগঠনগুলি। খবরটা কানে যায় কেন্দ্রের। কোনভাবেই যাতে ফের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান পন্ড না হয় তা সম্পূর্ণ খেয়াল রাখতে বলা হয় দিল্লি পুলিশকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই নির্দেশ মেনে রাজধানীর বুকে সক্রিয়তা বাড়ে দিল্লি পুলিশের। তারই অঙ্গ হিসেবে এবার এই কন্টেনার বেষ্টনী কৌশল অবলম্বন করল দিল্লি পুলিশ। দাবি বিশেষজ্ঞ মহলের।