বিহার: নেশামুক্ত রাজ্য বিহারে ১৬ জনের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য। দেউরাওয়া, জোগিয়া ও বাগাহি নামের তিনটি গ্রামে রহস্যমৃত্যুর নেপথ্যে কী ‘বিষমদ’? বিহারে নিষিদ্ধ হয়েছে মদ্যপান ও বিক্রি। এরপরেও চম্পারণ জেলায় গত ২-৩ দিনে রহস্যজনক কারণে ১৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় এফআইআর হয়েছে। খাদ্যে বিষক্রিয়া থেকেই মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ প্রশাসনের প্রাথমিক অনুমান। যদিও মৃতদের পরিবারের মধ্যে ৮ জন মৃতদের মদ্যপানের কথা অস্বীকার করেছে। চম্পারণের জেলাশাসক কুন্দন কুমার জানিয়েছেন, মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে দেহগুলির ময়নাতদন্ত চলছে। গ্রামবাসীদের শারীরিক পরীক্ষার জন্য দেউরাওয়া গ্রাম পাঠানো হয়েছে বিশেষ মেডিক্যাল টিম। ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল লালন প্রসাদ যাদব জানিয়েছেন, এফআইআর-এর ভিত্তিতে ৪০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গুরুতর অসুস্থতার কারণে হাসাপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন ২-৩ জন। অসুস্থদের শারীরিক অবস্থা যাচাই করে নেশাদ্রব্যে বিষক্রিয়ার সম্ভবনার কথা জানিয়েছেন চিকিত্সকরা।
আরও পড়ুন: এবার মদ্যপ অধ্যক্ষ সলমন?
২০১৬ সালের রাজ্যে এপ্রিলে বিহারে মদ্যপান ও বিক্রয় বিরোধী আইন পাস হয়। এরপরেও গোপনে মদ্যপান ও কেনাবেচার ঘটনায় রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। ১৬ জনের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় বিহারের আরজেডি দলনেতা লালু প্রসাদ যাদব নীতীশ কুমার সরকারকে বিঁধে বলেছেন, নীতিশ কুমারের “সুশাসন”এ রাজ্যে মদ্যপান নিষিদ্ধ হলেও আবগারি বাবদ ২০ হাজার কোটি টাকা অবৈধ উপায়ে আয় করে সরকার। প্রতিবছর বিহারে বিষমদ খেয়ে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। মদ্যপানে নিষেধাজ্ঞার নামে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছে গরিব মানুষ। বিষমদের ঘটনার এখনও প্রমাণ মেলেনি বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর, তবে ১৬ জন গ্রামবাসীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় গ্রাম চৌকিদারকে বরখাস্ত করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।