নয়াদিল্লি: বাদল অধিবেশনের শুরুর দিনেই আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। সংসদ শুরুর আগে বিরোধীদের কাছে ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশ’ বজায় রাখার আবেদন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ কিন্তু সেই আবেদন বিফলে গেল। বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনই বিরোধীদের চেঁচামেচিতে উত্তাল হয় সভা৷ প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিতে উঠলে স্লোগান দিতে শুরু করেন বিরোধীরা৷ বারবার মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন।
পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, কৃষি আইন বাতিল নিয়ে সংসদে বিরোধী দলগুলো ঝড় তুলতে পারে সেই আশঙ্কা ছিলই৷ তার ওপর ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে নতুন হাতিয়ার পেয়ে যায় বিরোধীরা৷ বিরোধীদের হৈ-হট্টগোলের জেরে দফায় দফায় মুলতুবি হল উভয় কক্ষই। এই প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, ‘রবিবার সন্ধ্যায় নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্বের দরবারে ভারতকে হেয় করা ও উন্নয়নকে স্তব্ধ করাই এর মূল উদ্দেশ্য।’
বিরোধীদের হৈ-হট্টগোলের ঘটনায়ও কড়া প্রতিক্রিয়া দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা। তিনি একটি বিবৃতিতে জানান, বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কিংবা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ভারতের অগ্রগতিকে রুখে দেওয়া যাবে না। বাদল অধিবেশন দেশকে নতুন দিশা দেখাবে। কংগ্রেসের সমালোচনা করে তাঁর অভিযোগ, নতুন মন্ত্রীদের পরিচয়পর্ব চলাকালীন কংগ্রেসের ব্যবহার দুর্ভাগ্যজনক।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, চলতি অধিবেশনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল আসার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেগুলি নিয়ে আলোচনায় সম্মতিও দিয়েছেন। দিনকয়েক আগেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে অনেক মহিলা, ওবিসি এবং কৃষকের ছেলে মন্ত্রী হয়েছে। বিরোধীরা তা হজম করতে পারছেন না। বিক্ষোভ দেখিয়ে উন্নয়নের গতি স্তব্ধ করা যাবে না। শত বাধা আসলেও মোদি সরকার দেশের উন্নতির জন্য কাজ করে যাবে।