গুয়াহাটি: দেশের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন রাজনৈতিক দল ভারতের জাতীয় কংগ্রেস। যাদের ১০০ বছরের ইতিহাস এবং প্রায় সাত দশক দেশ শাসনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সাত বছর ধরে কেন্দ্রের বিরোধী দল কংগ্রেস। কিন্তু ওই দলের পক্ষে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব নয়। এমনই দাবি করলেন প্রাক্তন কংগ্রেসনেত্রী সুস্মিতা দেব।
কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মুখপাত্র ছিলেন সুস্মিতা দেব। সেই সঙ্গে হাত শিবিরের জাতীয় স্তরের মহিলা শাখার প্রধান ছিলেন তিনি। দীর্ঘ তিন দশকের রাজনীতির অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। সেই নেত্রী সপ্তাহ খানেক আগে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। যা নিয়ে জোরাল আলোচনা শুরু হয়েছে নানামহলে। প্রশ্ন উঠেছে অবিজেপি মহাজোটের ভবিষ্যৎ নিয়েও।
সুস্মিতা দেব দাবি করেছেন যে বিজেপি বিরোধিতার কারণেই তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন তিনি। কংগ্রেস বা কংগ্রেসের হাইকম্যান্ডের সঙ্গে তাঁর কোনও বিরোধ নেই। তাই অবিজেপি জোটে প্রভাবের কোনও প্রশ্নই নেই। সুস্মিতার কথায়, “এই মুহূর্তে বিজেপিকে মোকাবিলা করার মতো জায়গায় নেই কংগ্রেস। সেই জায়গায় অনেক দক্ষ নেত্রী হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি নিজের আদর্শ বজায় রেখে বিজেপি বিরোধিতার স্বার্থে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।”
আরও পড়ুন- খোলা নর্দমা পরিষ্কার করতে গিয়ে মৃত্যু তিন শ্রমিকের, মানবাধিকার কমিশনে দায়ের অভিযোগ
চলতি বছরে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে পরাস্ত হয়েছে কংগ্রেস। সুস্মিতাদেবীর নিজের রাজ্য অসমে ফের ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। উত্তর-পূর্বে বিজেপির উত্থান রুখতেই ঘাস ফুলের তিনি ভরসা রেখেছেন বলে দাবি করেছেন সুস্মিতা। তাঁর মতে, “উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজনীতিতে বিরোধী শিবিরের একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে। যার কারণেই বিজেপি সুযোগ পাচ্ছে। বিজেপির উত্থান রুখতে তাই তৃণমূলকে শক্তিশালি করতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমি ময়দানে নেমেছি।”
অসমে বিজেপিকে রুখত এআইইউডিএফ-র সঙ্গে জোট করেছিল কংগ্রেস। যা নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল। সেই জোটের নেতাদের বিজেপির সঙ্গে আঁতাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন সুস্মিতা। তিনি বলেছেন, “কংগ্রেস এবং এআইইউডিএফ-র বিধায়কেরা মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার প্রশংসা করছেন। তাহলে আর বিরোধী কোথায় থাকল? বিজেপির জনবিরোধী নীতি নিয়ে কে প্রশ্ন তুলবে?” সূত্রের খবর, চলতি মাসেই এআইইউডিএফ-র সঙ্গে জোট ভাঙতে চলেছে কংগ্রেস। আগামী ৩০ অগস্ট এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।