রায়পুর: ছত্তিসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের বাবা নন্দকুমার বাঘেলকে ১৫ দিন বিচারবিভাগীয় জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে রায়পুর আদালত। আর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণদের ‘বিদেশি’ বলার অভিযোগে এফআইআর হয়। দিন দুই আগে রায়পুরের ডিডি নগর থানায় ৮৬ বছরের বৃদ্ধের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই মামলায় মঙ্গলবার এই রায় দিয়েছে রায়পুর আদালত।
নন্দকুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সম্প্রতি রায়পুরে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণদের ‘বিদেশি’ সম্প্রদায় বলে অভিহিত করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন ব্রাহ্মণদের সংস্কার প্রয়োজন অথবা গঙ্গা ছেড়ে ভলগা নদীর উদ্দেশ্য যাত্রা করা উচিত। এখানে বলে রাখা ভালো, ভলগা নদী রাশিয়ার একটি অন্যতম বড় নদী। তিনি তার মন্তব্যে ভলগা নদীর উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ তিনি ব্রাহ্মণদের পাশ্চাত্য সভ্যতার অধিবাসী বলেই বোঝাতে চেয়েছেন। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
আর এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৫ ও ১৫৩ ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
নন্দকুমারের এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়। সেই জন্যই সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। এমনটাই দাবি পুলিশের।
আরও পড়ুন:মোদী জমানায় দেশে বেকারত্ব সর্বোচ্চ ছুঁইছুঁই, আমিত পুত্রের সম্পত্তি বৃদ্ধি দিয়ে মুকুলের টুইট খোঁচা
এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল বলেন, “আমি বাবাকে সম্মান করি। কিন্তু তাঁর মন্তব্যে যদি সামাজিক শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়, তাহলে তা অস্বীকার করা যায় না। আমাদের সরকার কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী বাবা হলেও নয়। “তিনি আরও বলেন, “এই মন্তব্য কোনও সম্প্রদায়ের আবেগকে আঘাত পৌঁছেছে। আমাদের সরকার সমস্ত জাতি ধর্মের আবেগকে সম্মান করে। প্রথম থেকেই আমার সঙ্গে আমার বাবার রাজনৈতিক এবং আদর্শগত দৃষ্টিভঙ্গির তফাৎ রয়েছে। এই কথা সকলেই জানেন। গোটা ঘটনায় আইন অনুযায়ী পুলিশ পদক্ষেপ করবে।” স্পষ্ট বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তান দূর হটো’ স্লোগানে তপ্ত কাবুল, গুলি ছুঁড়ল তালিবান
যদি এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আগ্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় নিয়ে বিরোধী দল বিজেপি। তবে পরবর্তী পুলিশি পদক্ষেপ কি হবে? তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। এই ঘটনায় ছত্রিশগড়ের রাজনীতিতে নতুন করে জল ঘোলা শুরু হল বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।