দিল্লি : নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু রহস্য আজও খুঁজে চলেছে গোটা বিশ্ব। মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করতে গঠন করা হয়েছে তিনটি কমিশন। এরপরেও অকাট্য প্রমাণের অভাবে বিতর্ক রয়েছে নেতাজির মৃত্যু রহস্য নিয়ে। ১৮ অগাস্ট বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল মেনে নিয়ে টুইট করে বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রমেশ পখরিয়াল। টুইট করে তিনি লেখেন, “নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাই। নেতাজির সংগ্রাম, ত্যাগ ও দেশের প্রতি নিষ্ঠা সমস্ত তরুণদের অনুপ্রেরণা। জয় হিন্দ!” যদিও চাপের মুখে টুইট ডিলিট করেছেন বিজেপি সাংসদ।
একইভাবে এইদিনে নেতাজিকে স্মরণ করে কংগ্রেসের করা ফেসবুক পোস্ট ঘিরেও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। টুইট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বসু পরিবার।
আরও পড়ুন:বনগাঁয় উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র ও তরল মাদক, গ্রেফতার ২
নেতাজির পরিবারের নেতাজির মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে গঠিত শানওয়াজ কমিশন ও খোসলা কমিশন তাঁদের রিপোর্টে দাবি করে ১৯৪৫ সালের ১৮ অগাস্ট জাপানের তাইপেইতে বিমান দুর্ঘটনায় মারা গেছিলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। বিমান দুর্ঘটনায় নিহত নেতাজির চিতা ভষ্ম জাপানের রেনকোজি মন্দিরে রাখা আছে। সদস্য চন্দ্র বসুর বক্তব্য, কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে নেতাজির কন্যা অনিতা বসু চিঠি দিয়ে ডিএনএ টেস্ট করার দাবি জানান। বিজেপি সাংসদ রমেশ পখরিয়ালের টুইটের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “ডিএনএ টেস্ট এখন অনেক উন্নত হয়েছে।
আরও পড়ুন :তালিবানদের হটাতে আফগানিস্তানে সেনা নামানোর ইঙ্গিত বাইডেনের
Strongly object to this tweet. This date of death is not proved. Both Congress and BJP govt didn't try to find out the real facts regarding the last moments of Netaji. Don't play with emotions of Bengal and India. First prove the death. Publish the classified files. https://t.co/FmjSoZ3oud
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 18, 2021
বৈজ্ঞানিক প্রমাণ ছাড়া মন্তব্য করা অনুচিত”। বসু পরিবারের সদস্য চন্দ্র বসু দাবি করেছেন, নেতাজির মৃত্যু রহস্য নিয়ে জাপান মোট ৫টি ফাইল প্রকাশ করতে চেয়েছে। তারমধ্যে মাত্র ২টি ফাইল প্রকাশ করেছে জাপান। টুইট ঘিরে বিতর্কে কংগ্রেস ও বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি টুইট করেন, “ বাংলার আবেগ নিয়ে খেলবেন না। নেতাজির মৃত্যু নিয়ে এখনও কোনও সঠিক তথ্য প্রমাণ মেলেনি। প্রথমে মৃত্যু নিশ্চিত করা হোক। তারপর ক্লাসিফাইড ফাইল প্রকাশ্যে আনা হোক”।