নয়াদিল্লি: সংসদে কথা বলতে দিচ্ছে না সরকার। তড়িঘড়ি পাস করিয়ে নেওয়া হচ্ছে বিল। সেই সঙ্গে পেগাসাস বা অন্যান্য ইস্যু তো রয়েছেই। এই সকল বিষয়ের প্রতিবাদে সংসদের বাইরে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছে বিরোধীরা। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে মিছিল। যা নিয়ে পালটা জবাব দিয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন- রাহুলের নেতৃত্বে বিরোধীদের কেন্দ্র বিরোধী মিছিল সংসদের বাইরে
পেগাসাস ছাড়াও কৃষি আইন এবং অন্যান্য নানাবিধ ইস্যু ঘিরে বাদল অধিবেশনে উত্তাল হয়েছে সংসদের দুই কক্ষ। বিরোধীদের তাণ্ডবে সংসদের স্বাভাবিক কোনও কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে সরকার। বিভিন্ন সময়ে মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে সংসদের অধিবেশন। সরকার বিরোধীদের কাঠগড়ায় তুললেও পালটা জবাব দিয়েছে বিরোধী শিবির। তাঁদের বক্তব্য, সংসদে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। আলোচনা ছাড়াই বিল পাস করানো হচ্ছে। যা সংবিধান এবং গণতন্ত্রের বিরোধী।
আরও পড়ুন- পেগাসাস ইস্যুতে উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন বিরোধী সাংসদরা
এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সংসদের বাইরে দিল্লির রাস্তায় মিছিল করে বিরোধীরা। যা নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র। তিনি বলেছেন, “এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। এটা গণতন্ত্রের লজ্জা।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “সমগ্র অধিবেশন জুড়ে বিরোধীরা সংসদের স্বাভাবক কাজকর্ম হতে দেয়নি। নৈরাজ্যের যাবতীয় সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।”
আরও পড়ুন- ১৬ যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ল হেলিকপ্টার
বুধবার সংসদে কেঁদে ফেলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। সংসদে উচ্চকক্ষের চেয়ারম্যান জানান যে বিরোধীদের তান্ডবের কারণে তিনি রাতে ঘুমাতে পারছেন না। যা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। এই নিয়ে সম্বিত পাত্র বলেছেন, “ওই কান্না কেবলমাত্র রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুর নয়, ওটা গণতন্ত্রের কান্না।”
এই বিষয়ে কংগ্রেসের প্রবীণ সাংসদ শশী থারুর বলেন, “সরকার চাইছে না সংসদের স্বাভাবিক কাজ হোক। সেই কারণেই আলোচনা ছাড়াই একের পর এক বিল পাস করিয়ে নিচ্ছে। করোনার টিকাজকরণ, বর্তমাণ অর্থনৈতিক অবস্থা, বেকারত্ব, কৃষি আইন নিয়ে আলোচনা দরকার। কিন্তু সরকার আলোচনা এড়িয়ে যাচ্ছে।” এদিন সংসদ থেকে বিজয় চক পর্যন্ত মিছিল করেন বিরোধীরা। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, “সংসদে বিরোধীদের কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা গণতন্ত্রের হত্যা।”