ওয়েব ডেস্ক : বিজেপির (BJP) পরবর্তী সর্বভারতীয় সভাপতি (Working president) কে হবেন? তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছিল। এর মাঝেই রবিবার বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের তরফে কার্যনির্বাহী সভাপতিকে বেছে নিল ভারতীয় জনতা পার্টি। তিনি হলেন নীতীন নবীন (Nitin Nabin)। বর্তমানে বিহারের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সাল থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি রয়েছেন জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। তিনি আবার হলেন মোদির মন্ত্রিসবার স্বাস্থ্যমন্ত্রীও। কিন্তু, পরবর্তী সভাপতি কে হবেন তা এখনও ঠিক করে উঠতে পারেনি গেরুয়া শিবির। তার মাঝেই এবার কার্যনির্বাহী সবাপতির নাম ঘোষণা করা হল বিজেপির তরফে। বিজেপির কার্যকরী সভাপতিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।
তিনি সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘নীতিন নবীন জি একজন পরিশ্রমী কর্মী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি একজন তরুণ এবং পরিশ্রমী নেতা। যাঁর সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ। বিহারে একাধিক মেয়াদে বিধায়ক এবং মন্ত্রী হিসেবে তাঁর চিত্তাকর্ষক রেকর্ড রয়েছে। তিনি জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য অধ্যবসায়ের সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি তার নম্র স্বভাব এবং কাজের ধরণে বিশ্বাসী। আমি নিশ্চিত যে তার শক্তি এবং নিষ্ঠা আগামী দিনে আমাদের দলকে শক্তিশালী করবে। বিজেপির জাতীয় কার্যকরী সভাপতি হওয়ার জন্য তাকে অভিনন্দন।’
আরও খবর : কোভিড ভ্যাকসিনের কারণেই বাড়ছে মৃত্যুর হার? কী বলল AIIMS?
মূলত, বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের সময় পটনার বাঁকিপুর আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন নীতীন। ৫১ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন আরজেডির প্রার্থী রেখা কুমারীকে। তিনি এখন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের মন্ত্রিসভার ক্যাবিনেট মন্ত্রী।
অন্যদিকে বলে রাখা দরকার, অমিত শাহ যখন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ছিলেন, সেই সময় কয়েকমাস কার্যনির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব সামলেছিলেন জেপি নাড্ডা। তার পরেই তাঁকেই করা হয়েছিল সর্বভারতীয় সভাপতি। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, নীতীন নবীনকেই ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি করা হতে পারে।
দেখুন অন্য খবর :