বেতিয়া: প্রেমে পাগল যুবকের পাগলামি সামাল দিতে নাভিশ্বাস উঠল পুলিসের। কুরিয়র বয় হিসেবে পরিচয় দিয়ে সাতসকালে প্রেমিকার বাড়িতে হাজির সেই প্রেমিক প্রবর। প্রেমিকা অবশ্য বাড়িতে ছিলেন না। তিনি তখন দিল্লিতে। বাড়িতে ঢুকেই ওই যুবক প্রেমিকার শিক্ষক বাবা, মা ও ঠাকুমাকে পণবন্দি করে রাখে। সে সঙ্গে নিয়ে এসেছিল নাইলনের দড়ি, লোহার শিকল, তালা, কিছু ইনজেকশনের ভায়াল, অ্যাসিড বা পেট্রোল জাতীয় কোনও কিছুর দুটি বোতল। প্রেমিকের একটাই দাবি, তাঁদের মেয়েকে এখনই হাজির করতে হবে। দীর্ঘ প্রায় ৭ ঘণ্টা বন্দুকের নলের মুখে ওই তিন জনকে আটকে রাখা হয়।
এখানেই নাটকের শেষ নয়। প্রতিবেশী এক যুবক খারাপ কিছু হওয়ার আশঙ্কায় খবর দেন পুলিসকে। পণবন্দি তিন জনকে উদ্ধার করতে এসে পুলিসও বন্দি হয়ে পড়ে। ওই প্রেমিক ছয় পুলিসকর্মীকেও আটকে রাখে। পরে বিশাল পুলিসবাহিনী এসে সকলকে উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয় সতীশ কুমার ওরফে বিকাশ নামে ওই যুবককে। জেরার মুখে বিকাশ পুলিসকে জানিয়েছে, সে সদ্য বিহার পুলিসের সাব ইনস্পেক্টর পরীক্ষায় পাশ করেছে।
সোমবার সকালের এই ঘটনা বিহারের বেতিয়া থানার মহেন্দ্র কলোনির। বিকাশের বাড়ি পূর্ব চম্পারণ জেলার বাহাদুরপুর গ্রামের বরাইতলায়। মহেন্দ্র কলোনির স্কুল শিক্ষক অরুণ কুমারের মেয়ের সঙ্গে দুবছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বিকাশের। এমনটাই সে জীনিয়েছে পুলিসকে। তখন মেয়েটির বয়স ছিল কম এবং স্নাতকস্তরে পড়াশোনা করছিল। এখন সাবালক হওয়ায় বিকাশ মেয়েটিকে বিয়ে করতে চায়। সেই কারণেই সোমবার সাতসকালে সে হানা দেয় হবু শ্বশুর বাড়িতে। কুরিয়র বয় হিসেবে সে সঙ্গে নিয়ে এসেছিল বিহার স্কুল এক্সামিনেশন বোর্ডের স্টিকার লাগানো একটি প্যাকেট, যাতে মেয়েটির স্কুল শিক্ষক বাবার কোনও সন্দেহ না হয়।
আরও পড়ুন: Modi-Biden Meet: কোভিড নিয়ন্ত্রণে চীনের চেয়েও সফল ভারত, মোদির প্রশংসায় বাইডেন
পুলিস সুপার উপেন্দ্রনাথ বর্মা জানান, ধৃতের কাছ থেকে একটি পিস্তল এবং পাঁচটি কার্তুজ পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে চারটিতে মেয়েটির পরিবারে চার সদস্যে এবং আর একটিতে বিকাশের নাম লেখা ছিল। তা দেখে পুলিসের অনুমান, চারজনকে মেরে নিজেও আত্মঘাতী হওয়ার পরিকল্পনা করেই সে হবু শ্বশুরবাড়িতে এসেছিল। পুলিস তাকে টানা জেরা করছে।