গুয়াহাটি: বাংলাদেশি মুসলিমদের তাঁর রাজ্যের অধিবাসী হিসেবে ঠাঁই পেতে মানতে হবে একাধিক শর্ত, শনিবার একথা জানিয়ে দিলেন অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁর রাজ্যে বহুবিবাহ, বাল্যবিবাহ চলবে না। এছাড়াও দুজনের বেশি সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে বহু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ অসমের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। বাংলাভাষী এই মানুষজনদের স্থানীয়ভাবে ‘মিয়া’ (Miya) বলে অভিহিত করা হয়। শনিবার বিশ্ব শর্মা বলেন, “মিয়ারা আদি বাসিন্দা কি না তা অন্য বিষয়। তারা যদি আদি বাসিন্দা হতে চায়, আমাদের সমস্যা নেই। তবে তার জন্য তাদের বহুবিবাহ, বাল্যবিবাহ ছাড়তে হবে এবং নারীশিক্ষার প্রতি মনোযোগ দিতে হবে।”
আরও পড়ুন: কেজরির গ্রেফতারির প্রতিবাদে ৩১শে ইন্ডিয়া জোটের মহা সমাবেশ
অসমের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সম্মান করার কথা তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মিয়া সম্প্রদায়ের কিছু দলের বৈষ্ণব মঠ জবরদখল নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “আমি সবসময় ওদের বলি, মিয়াদের আদি বাসিন্দা হওয়া নিয়ে আমার কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু তারা দু’-তিন স্ত্রী রাখতে পারবে না। ওটা অসমিয়া সংস্কৃতি নয়। কেউ কী করে বৈষ্ণব মঠের জমি জবরদখল করে আদি বাসিন্দা হতে চায়?”
প্রসঙ্গত, গত বছর বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করে অসম সরকার। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বহু বয়স্ক মানুষের একাধিক স্ত্রী থাকতে দেখা গিয়েছে। সেই স্ত্রীরা অনেক কমবয়সি এবং সমাজের খুবই দরিদ্র শ্রেণি থেকে আসা। ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারি প্রথম দফার ধরপাকড়ে ৩৪৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং মামলা দায়ের করা হয়েছিল ৪৫১৫টি। অক্টোবরে দ্বিতীয় দফায় ৯১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয় এবং ৭১০টি মামলা দায়ের হয়।
গত বছর অক্টোবরে বিশ্ব শর্মা জানিয়ে দেন, আগামী ১০ বছর মিয়াদের ভোট বিজেপির (BJP) দরকার নেই। যতদিন না তারা বহুবিবাহ, বাল্যবিবাহ ইত্যাদি অভ্যাস ত্যাগ করছেন ততদিন তাদের ভোট নেওয়া হবে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মিয়াদের শুধরাতে ১০ বছর সময় লাগবে এবং এই ১০ বছরে তাদের ভোটের প্রয়োজন নেই।
দেখুন অন্য খবর: