তেজপুর: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নীতি পুলিশের শিকার পরীক্ষার্থী। শর্টস পরে আসার জন্য পরীক্ষায় বসতে দেওয়া বাধার অভিযোগ ১৯ জুবিলি তামুলিকে। শেষমেশ ওড়না পায়ে জড়িয়ে পরীক্ষায় বসতে হয় তাঁকে। ঘটনাটি সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আছড়ে পড়ে নিন্দার ঝড়।
গত বুধবারের অসমের তেজপুরের ঘটনা। স্থানীয় একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ইন এগ্রিকালচার প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন জুবিলি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা।
জুবিলি অভিযোগ সকাল-সকাল পরীক্ষাকেন্দ্রে হাজির হলেও প্রথমে কোন সমস্যা হয়নি। প্রতিষ্ঠানের গেট দিয়ে পরীক্ষা হলে ঢুকতে বাধা সম্মুখীন হতে হয় তাকে। সহজ করে আসায় পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না বলে জানান পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা। কিন্তু অ্যাডমিট কার্ডে ড্রেসকোড সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই। সেই যুক্তি বারবার তুলে ধরা সত্বেও জুবিলীর যুক্তি শুনতে নারাজ তাঁরা।
আরও পড়ুন: ইউটিউব ভাষণের মাধ্যমে প্রতি মাসে ৪ লক্ষ টাকা আয় করেছেন নীতিন গড়কড়ি
এমন অবস্থায় বাবার কাছে ফুল প্যান্ট কিনে আনার আবেদন জানান তিনি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে স্থানীয় বাজারে প্যান্ট কিনতে চান তাঁর বাবা। কিন্তু পরে তাঁকে একটি ওড়না যোগাড় করে দেয় কর্তৃপক্ষ। সেই ওড়না পায়ে চাপিয়েই পরীক্ষায় বসেন জুবিলী।
আরও পড়ুন:তামিলনাড়ু, কেরালার পর কর্ণাটক, অনলাইনে বেটিং রুখতে কঠোর হচ্ছে রাজ্যগুলি
এই ঘটনার কথা বলতে গিয়ে ক্ষোভ ঝরে পড়ে ওই পড়ুয়ার বাবার গলাতেও। তিনি বলেন এ ঘটনার জন্য ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় মাত্র ১৪৮ নম্বর দিতে পেরেছে তাঁর মেয়ে। যা হতাশা জনক বলে জানিয়েছেন তিনি। এই হেনস্থা ঘটনাটিকে নিয়ে অসমের শিক্ষামন্ত্রকেও চিঠি লিখবেন বলে জানিয়েছেন জুবিলি।