লখনউ: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে হারতে হয়েছে ভারতকে। তার পর থেকে দেশের নানা প্রান্তে পাকিস্তানের সমর্থনে গা ভাসিয়েছেন এক শ্রেণির মানুষ। কোথাও বাজি পোড়ানো হয়েছে, কোথাও পাকিস্তানের পক্ষে স্লোগান দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের জেতার পর সেলিব্রেশন করার অভিযোগে ৭ জনের নামে মামলা করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, পাঁচ জেলার ৭ জনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৪ জনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। আইটি অ্যাক্টেও মামলা হয়েছে। ভারতের হার সত্ত্বেও যারা উৎসব পালন করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলা দায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের জয়ে উৎসব পালনকারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলা: যোগী আদিত্যনাথ
মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের তরফে বৃহস্পতিবার টুইট করে জানানো হয়েছে, ‘পাকিস্তানের জয়ে উৎসব পালনকারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলা করা হবে।’ রবিবার দুবাইতে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে পাকিস্তান ১০ উইকেটে জিতে যায়। এর আগে কখনও বিশ্বকাপে ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। তারপরেই ভারতের বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তানকে সমর্থন করার অভিযোগ ওঠে।
UP Police have booked 7 people in 5 districts and taken 4 people in custody for allegedly raising pro-Pak slogans or celebrating Pakistan's victory over India in the T20 Cricket World Cup match that took place on Oct 24: CMO pic.twitter.com/o1ceq5L7ED
— ANI UP/Uttarakhand (@ANINewsUP) October 27, 2021
ভারতের হারের পর পাকিস্তানের সমর্থনে হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস দেওয়ায় আগ্রার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে তিন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁরা জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা। শ্রীনগরের একটি মেডিক্যাল কলেজে কিছু পড়ুয়ার বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলা রুজু করে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। পাকিস্তানের জয়ের পর তাঁদের উচ্ছ্বাস প্রকাশের একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন: দিল্লি এইমস থেকে সুস্থ হয়ে ফিরলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়
পাকিস্তানের জয়ে ‘উচ্ছ্বসিত’ হয়ে হোয়াটসঅ্যাপে স্ট্যাটাস দিয়ে চাকরি খোয়ান রাজস্থানের এক শিক্ষিকা। ম্যাচ শেষের কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি ছবি সহ হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস দেন। পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের ছবি দিয়ে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমরা জিতেছি’। ওই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট ভাইরাল হতেই তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।