নয়াদিল্লি: হিমাচলপ্রদেশে (Himachalpradesh) কংগ্রেস শাসিত সুখবিন্দর সিং সুখুর (Sukhvinder Singh Sukhu) সরকারে সঙ্কট আরও বাড়ল। দলের ছয় বিদ্রোহী বিধায়কের সঙ্গে হাত মেলালেন আরও পাঁচ বিধায়ক। শনিবার এই ১১ জন বিধায়কই উত্তরাখণ্ডের একটি হোটেলে চলে গিয়েছেন। সেই হোটেলে কয়েকজন বিজেপি বিধায়কও রয়েছেন। এর ফলে সুখুর সংসারে ভাঙন আরও তরান্বিত হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের খবর, এদিন হৃষিকেশের একটি বিলাসবহুল হোটেলে কংগ্রেসের ওই ১১ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়ককে দেখা গিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর দিল্লি গিয়েছিলেন। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি ওই বিদ্রোহী বিধায়কদের ফিরিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত দেন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় সুখু সরকারের অর্থ বিলের বিরুদ্ধে ভোট দেন ওই ছয়জন দলীয় হুইপ উপেক্ষা করে। দলত্যাগ বিরোধী আইনে বিধানসভার স্পিকার তাঁদের সদস্যপদ খারিজ করেন। এর আগে বিদ্রোহী বিধায়করা রাজ্যসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভিকে ভোট দেননি। তাঁরা বিজেপি প্রার্থী হর্ষ মহাজনের সমর্থনে ক্রস ভোটিং করেন। এর জেরে কংগ্রেস প্রার্থী হেরে যান। ৬৮ সদস্যের বিধানসভায় দুই পক্ষই ৩৪টি করে ভোট পাওয়ায় টসে জেতেন বিজেপি প্রার্থী।
আরও পড়ুন: আইপিএস ছেড়ে তৃণমূলের পথে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়
কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা ছিল ৪০। ছয়জনের সদস্যপদ খারিজ হওয়ায় কংগ্রেসের সদস্য কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪। এই মুহূর্তে ৬২ সদস্যবিশিষ্ট সভায় ম্যাজিক ফিগার ৩৩। পাঁচ বিধায়ক উত্তরাখণ্ডে চলে যাওয়ায় কংগ্রেসের সদস্য দাঁড়িয়েছে ২৯ এ। বিজেপির সদস্য এখন ২৫। যে তিন নির্দল বিধায়ক রাজ্যসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের ধরলে বিজেপির সংখ্যা দাঁড়ায় ২৮। বহিষ্কৃত ছয় বিধায়ককে যদি আস্থা ভোটে ভোট দিতে নাও দেন স্পিকার, তাহলে উত্তরাখণ্ডে চলে যাওয়া পাঁচ বিধায়কের সমর্থন পেলেই সুখুর সরকার পড়ে যেতে পারে।
আরও খবর দেখুন