নিউদিল্লি : জরুরি অবস্থার অন্ধকার দিনের কথা তুলে কংগ্রেসকে ট্যুইট খোঁচা প্রধানমন্ত্রীর। পোস্ট শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘আপনারা ভাবতে পারেন সেই সময় কী কী নিষিদ্ধ ছিল?’ জরুরি অবস্থার সেই অন্ধকার সময়কে ভোলা সম্ভব নয়। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত সময়কাল, দেশের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিয়ন্ত্রণের নামে ধ্বংসের সাক্ষী।’ ট্যুইট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ‘আসুন আমরা ভারতের গণতান্ত্রিক চেতনা জোরদার করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করার অঙ্গীকার করি।’ ট্যুইট বার্তা মোদির।
‘এভাবেই কংগ্রেস আমাদের গণতন্ত্রকে পদদলিত করেছিল। আমরা সেই সমস্ত মহান ব্যক্তিদের স্মরণ করি, যাঁরা জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন ও দেশের গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করেছিলেন।’ ওই জায়গায় তিনি বিজেপির একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টের লিঙ্ক শেয়ার করেন। যাতে দেখা যাচ্ছে বিজেপি সেইসব জিনিসই শুনছে যা জরুরি অবস্থার সময়ে কার্যত নিষিদ্ধ ছিল। ছবিটি শুরু হচ্ছে একটি গ্রাফিক্স দিয়ে। সেখানে লেখা, ‘১৯৭৫, ইন্দিরা গান্ধীর জারি করা জরুরি অবস্থা। ভারতের গণতন্ত্রের এক অবিশ্বাস্য সময়।’
এরপর ৬টি ছবি দিয়ে একটি প্রশ্ন করা হচ্ছে: ‘ ভাবতে পারেন এগুলো নিষিদ্ধ ছিল?’ ছবিগুলোতে রয়েছে কিশোর কুমারের গান, চন্দ্রশেখর আজাদ ও ভগত সিংয়ের বিপ্লবের উপর আধারিত ছবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মহাত্মা গান্ধীর প্রতিবাদী উদ্ধৃতি। শেষের ছবিতে লেখা, ‘আসুন আমরা একত্রে অঙ্গীকার করি যে, যাঁরা আমাদের দেশের সঙ্গে এই আচরণ করেছিল, তাঁদের আর কখনও তা করার ক্ষমতা দেব না।’
৪৬ বছর আগে এই দিনে, তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন। নির্বাচনে জালিয়াতি করার অভিযোগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। ছ’বছরের জন্য তাঁকে সংসদ সদস্য হিসাবে প্রত্যাখ্যান করার নির্দেশ দেয় আদালত। এরপরই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন ইন্দিরা। জরুরি অবস্থায় মানুষের সাংবিধানিক অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ছিনিয়ে নেওয়া হয় মানুষের কথা বলার স্বাধীনতাও। সীমাবদ্ধ রাখা হয় সংবাদমাধ্যমের ক্ষমতাও। সেই সময়ে বহু বিরোধী নেতাকে জেলে পাঠানো হয়।
বিজেপি জরুরি অবস্থার বর্ষপুর্তিকে ‘কালো দিন’ বলে থাকে। এ নিয়ে নিয়মিত কংগ্রেসকে আক্রমণও করে তারা। গত মার্চে, জরুরি অবস্থাকে ‘ভুল’ বলার পাশাপাশি ওই সময়ে যা যা ঘটেছিল তাকেও ‘ভুল’ বলে স্বীকার করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।