ব্যাঙ্গালুরু : ভারতে ওমিক্রনের (Omicron) উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। কর্নাটকে (Karnataka) ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২ জন। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন কর্ণাটকের এক চিকিৎসক। তবে অপরজন দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বাসিন্দা বলে জানা গেছে। যদিও দিন কয়েক আগে তিনি ভারত ছেড়ে দুবাই চলে যান। আবারও সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হল কর্নাটকে। এবারে খোঁজ মিলছে না প্রায় ১০ জন যাত্রীর। বিমানবন্দর থেকে এদের আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জানা গেছে, আফ্রিকার একাধিক দেশ থেকে ব্যাঙ্গালুরুতে (Bengaluru) এসেছিলেন এই ১০জন যাত্রী।
শুক্রবার রাতে ওই ১০ জন যাত্রী ব্যাঙ্গালুরুর বিমানবন্দরে নামেন। ওমিক্রনের কারণে এখন বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত যাত্রীদের বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই যেখান থেকেই হোক, ওই ১০ জন যাত্রীকে খুঁজে বার করে তাঁদের টেস্ট করাতে হবে বলে জানান কর্ণাটকের রাজস্ব মন্ত্রী আর অশোক। তিনি আরও জানান, এর আগে ওমিক্রনে আক্রান্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ওই যাত্রীর সঙ্গে একই বিমানে আরও ৫৭ জন যাত্রী এসেছিলেন। তাঁদের প্রত্যেকের আরটি-পিসিআর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু শুক্রবার রাত থেকে যে ১০ জন যাত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তাঁদের প্রত্যেকের ফোন বন্ধ। যার ফলে কারোর সঙ্গেই যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।
শুধু কর্নাটকে নয়, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, দিল্লি , সহ বেশ কিছু জায়গাতেই জিনোমিক সিকোয়েন্সিংয়ে একাধিক করোনা আক্রান্তের নমুনা পাওয়া গেছে। কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে. সুধাকর কর্ণাটকের পুলিশকে আফ্রিকা থেকে আসা ওই ১০ জন নিখোঁজ যাত্রীকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন। সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য ওই ১০ যাত্রীকে নিজেদের থেকেই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার আর্জি জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।