কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় হাইকোর্টের রাজ্যে অখুশি রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের ৫ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ রায় দেয়, ভোট পরবর্তী খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই। অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের তদন্ত করবে সিট। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ভাবনাচিন্তা করছে রাজ্য সরকার। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের টুইটে তেমন ইঙ্গিতই মিলেছে।
আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া নিয়ে টুইটে সরাসরি কিছু বলেননি। তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘HC order নিয়ে প্রকাশ্য বিরোধিতা করা যায় না। ওঁরা নির্দেশ দিয়েছেন। সরকার এবং দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই নির্দেশ খতিয়ে দেখে প্রতিক্রিয়া জানাবেন। সম্ভাব্য আইনি দিকগুলি বিবেচিত হবে। আমরা মনে করি NHRCর রিপোর্ট সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে HC নিয়ে এখন কোনো মন্তব্য করছি না।’
HC order নিয়ে প্রকাশ্য বিরোধিতা করা যায় না। ওঁরা নির্দেশ দিয়েছেন। সরকার এবং দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই নির্দেশ খতিয়ে দেখে প্রতিক্রিয়া জানাবেন। সম্ভাব্য আইনি দিকগুলি বিবেচিত হবে। আমরা মনে করি NHRCর রিপোর্ট সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে HC নিয়ে এখন কোনো মন্তব্য করছি না।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 19, 2021
বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ভোট পরবর্তী খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই। অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের তদন্ত করবে সিট। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নজরদারিতে কাজ করবে সিট। তিন আইপিএস আধিকারিক সুমনবালা সাহু, সৌমেন মিত্র এবং রণবীর কুমারের নেতৃত্বে সিট গঠিত হবে।
আরও পড়ুন: দিদি মানেই গুলি, কাবুল থেকে ফিরতে ভরসা মোদিই: দিলীপ
গাড়ি-বাড়ি ভাঙচুর করা, আগুন লাগানো, মারধর করা, ঘরছাড়া করার মতো অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তদন্ত করবে সিট। খুন, ধর্ষণ, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মতো গুরুতর ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই। আইপিএস রশিদ মুনির খানের বিরুদ্ধে সিবিআই এবং সিট- উভয়েই তদন্ত করবে। ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের রাজ্য সরকারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট।