খড়গপুর: ফের বিতর্কিত মন্তব্য দিলীপ ঘোষের মুখে। আগে বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে উঠে এসেছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি। এবার আফগানিস্তানে আটকে থাকা বাঙালিদের দেশে ফেরানো নিয়ে একই কায়দায় বেফাঁস মন্তব্য করলেন মেদিনীপুরের সাংসদ।
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
দার্জিলিং, কালিম্পং -সহ রাজ্যের ২০০ জনেরও বেশি আটকে আছেন আফগানিস্তানে। বুধবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আটকে পড়া নাগরিকদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ইতিমধ্যেই বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে কথাও বলেছে নবান্ন।
আরও পড়ুন- লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম তোলা নিয়ে বিশৃঙ্খলা রুখতে বিশেষ ব্যবস্থা হাওড়ায়
এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। ২০০ জন বাঙালির আফগানিস্তানে আটকে থাকার বিষয়ে বংগ বিজেপির সভাপতি বলেন, “বাঙালি নয়, ভারতীয় আটকে রয়েছেন। সবাইকে মোদিজি উদ্ধার করবেন। মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়। লিবিয়া থেকে অনেক ভারতীয়কে দেশে ফেরানো হয়েছে। লকফডাউনের সময়ে ৭০ লক্ষের বেশি মানুষকে বিমানে করে ফেরানো হয়েছে। কারোর কোনও ক্ষতি হতে দেয়নি।”
আরও পড়ুন- রামকৃষ্ণ আশ্রমে মদের আসর, প্রতিবাদী সন্ন্যাসীর মুখে মদ ঢেলে পালালো যুবকরা
এরপরেই দিলীপ ঘোষের মুখে শোনা গিয়েছে বিতর্কিত মন্তব্য। আফগানিস্তানে আটকে থাকা বাঙালিদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “মোদির উপরে ভরসা করুন। দিদির উপরে নয়। দিদির উপরে ভরসা করলে তালিবানের গুলি কপালে আছে।”
নবান্নের তরফে বিভিন্ন জেলায় নির্দেশ পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল সংশ্লিষ্ট জেলার কোনও নাগরিক আফগানিস্তানে আটকে আছেন কি না। তারপরই বুধবার বিভিন্ন জেলা থেকে আফগানিস্তানে কর্মসূত্রে যাওয়া বা অন্য কোনও কারণে যাওয়া কয়েকশো নাগরিকের খোঁজ পাওয়া যায়। সেই সূত্রেই নবান্নের কাছে খবর আসে, সারা রাজ্য মিলিয়ে ২০০ র বেশি বাসিন্দা আফগানিস্তানে আটকে পড়েছেন। এর মধ্যে একটা বড়ো অংশ দার্জিলিং, কালিম্পং -সহ উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: গ্রামে ভ্যাকসিন হলেই লোকাল চালানোতে অনুমতি: মমতা
মমতা জানিয়েছেন, আটকে পড়া ওইসব মানুষজনকে দ্রুত নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা আলোচনাও করা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। নবান্নের তরফে আরও জানানো হয়েছে, আফগানিস্তানে আটকে পড়া পরিবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন যোগাযোগ রাখছে। প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।