বোলপুর: অকাল বসন্ত উৎসবে শুক্রবার রক্তাক্ত হল বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) প্রাঙ্গণ।বিশ্বভারতী (Visva-Bharati University) সূত্রের খবর, অনুষ্ঠান চলাকালীন আবির খেলছিলেন একদল পড়ুয়া (Student)। সেই ছবি মোবাইলবন্দি করার অভিযোগে এক ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করেন বিশ্বভারতীর নিরাপত্তাকর্মীরা। জখম ছাত্র জয় দাস, ব্যাচেলার অফ রুরাল স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র। মারের চোটে জয়ের নাক ফেটে রক্ত পড়তে থাকে। পরে বিশ্বভারতীর কর্মীরাই ওই ছাত্রের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
দোল পূর্ণিমার দিন বসন্ত উৎসব না করে তার চারদিন আগে বসন্ত বন্দনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইতিমধ্যেই বিতর্কে জড়িয়েছে বিশ্বভারতী। এরই মধ্যে এদিন সকালে পড়ুয়াদের পোশাকবিধি নিয়ে বিক্ষোভ দেখান একদল অভিভাবক। তার রেশ কাটতে না কাটতেই নিরাপত্তাকর্মীদের মারে জখম হলেন এক ছাত্র।
আরও পড়ুন: TMC Jhalda: তৃণমূলের ৪ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা করল ঝালদা থানার পুলিশ
এদিকে বসন্ত বন্দনার প্রাক্কালে বৃহস্পতিবার রাতে ১১ পাতার এক খোলা চিঠি প্রকাশ করেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিশ্বভারতীর বিভিন্ন মহলের অভিযোগ, এই ধরনের খোলা চিঠি লেখা উপাচার্য রীতিমতো অভ্যাসে পরিণত করেছেন। তবে ১১ পাতার এত দীর্ঘ চিঠি আগে তিনি লেখেননি। তাতে তাঁর অভিযোগ, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের যে দিন দিন অবলমন ঘটছে তার জন্য যেমন দায়ী প্রাক্তন উপাচার্যরা, তেমনি দায়ী ছাত্র-ছাত্রী, কর্মী, শিক্ষক, আধিকারিকরাও।একই ভাবে উপাচার্য এর জন্য শান্তিনিকেতনের মানুষদেরও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন।
ওই খোলা চিঠিতে তাঁর দাবি, বিশ্বভারতী একটি সোনার ডিম পাড়া রাজহাঁস। সোনার ডিমের পিছনে এই মানুষগুলো দৌঁড়ে বেড়ায়।কিন্তু সোনার ডিম পাড়া রাজহাঁসের কেউ যত্ন নেয় না। উপাচার্য পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের গুন্ডা আখ্যা দিতেও ছাড়েননি। স্রাম্পতিক বিভিন্ন বিতর্কিত ঘটনার উল্লেখ করে চিঠিতে বিদ্যুৎ লেখেন, পড়ুয়া, শিক্ষক, আধিকারিকদের একাংশ ভেবেছিল আমার মানসিক শান্তি বিঘ্নিত করলে আমিও পূর্বসুরি উপাচার্যদের মতো পদত্যাগ করে দৌঁড়ে পালাব। আমাকে ওরা ভুল ভাবে জরিপ করেছিল। ছাত্র নামধারী ক্যাম্পাসে গুন্ডাদের বিশ্বভারতী থেকে তাড়ানো আমার জীবনের একটা লক্ষ্য। এছাড়াও তিনি ওই চিঠিতে ছাত্র, শিক্ষক, আধিকারিক, আশ্রমিকদের একাংশের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ এনেছেন।