হায়দরাবাদ: ২০২৬ সালের গোড়াতেই বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসতে চলেছে ডেঙ্গির প্রতিষেধক। ফিবছর যখন ডেঙ্গির চোখরাঙানিতে শয়ে শয়ে মানুষ কাবু, তখন আশ্বাসবাণী শোনাল টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা ইন্ডিয়ান ইমিউনোলজিক্যালস লিমিটেড। মশাবাহিত জ্বর ডেঙ্গিতে প্রতিবছর রাজ্যসহ দেশে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। ডাক্তারিতে এখনও পর্যন্ত এই জ্বরের কোনও ওষুধ নেই। প্রচুর পরিমাণে তরল এবং প্যারাসিটামল ছাড়া নির্দিষ্ট কোনও অ্যান্টিবায়োটিক নেই ডেঙ্গির প্রকোপে। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, এ বছরের জুলাই পর্যন্ত দেশে মোট ৩১ হাজার ৪৬৪ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের।
জাতীয় পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রক কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ সালে ডেঙ্গি মহামারির আকার নিয়েছিল। প্রায় ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল আক্রান্তের সংখ্যা। ২০২১-২২ সালে ২১ শতাংশ ছিল আক্রান্তের হার। আইআইএলের এমডি কে আনন্দ কুমার জানিয়েছেন, ডেঙ্গির প্রতিষেধকের প্রাথমিক পরীক্ষা করা হয়েছে ৯০ জনের উপর। তাঁদের বয়স ১৮-৫০ বছর। প্রাথমিক পরীক্ষায় তাঁদের মধ্যে কোনও পার্শ্ব বা বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: পুলিশ টাকা তুললেই সরাসরি ফোন করুন, নির্দেশ মমতার
তিনি জানান, প্রথম পর্বে পরীক্ষায় আমরা সফল হয়েছি। এরপর পরবর্তী ধাপের দিকে এগব। আশা করা যায়, ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে টিকা বাণিজ্যিকভাবে নিয়ে আসা যাবে। আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ আইআইএলকে গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় ভাইরাস সরবরাহ করেছে বলে জানান কুমার।
প্রসঙ্গত, আইআইএল ছাড়াও সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া এবং প্যানাসিয়া বায়োটেক এই দুটি কোম্পানিও ডেঙ্গির প্রতিষেধক তৈরির কাজ করছে। হায়দরাবাদস্থিত আইআইএল পশু ও মানবদেহের টিকা রফতানি করে থাকে। প্রায় ৫০টি দেশে এরা প্রতিষেধক রফতানির ব্যবসা করে। ব়্যাবিশ টিকাই এদের মূল রফতানির প্রতিষেধক। উৎপাদনের প্রায় ৩৫ শতাংশ কুকুরে কামড়ানোর প্রতিষেধক বিক্রি করে এরা।