কাবুল: শেষ আমেরিকান সেনা ছাড়ল দেশ, টুইট করে জানালেন তালিবান মুখপাত্র। এবার আফগানিস্তানে শুরু হবে তালিবান রাজ। ফিরে আসবে কী সেই ভয়াবহ নয়ের দশক? যদিও এ বারের তালিবানরা একটু ডিপ্লোম্যাটিক। তাও গত কয়েকদিনে বেশ কিছু বিক্ষিপ্ত তালিবান জঙ্গিপনা দেখেছে বিশ্ব।
আফগানভূমি থেকে আমেরিক সেনা প্রতাহারের সঙ্গেই শেষ হল এক অধ্যায়ের। দুই দশক পর আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সেনা সরাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ৩১ শে অগস্ট ছিল ডেডলাইন। তালিবান অধিকৃত আফগানিস্তানে অগস্টের শেষদিন পর্যন্ত সেনা রাখার অনুমতি মিলেছিল। তার আগেই ছাড়তে হবে দেশ। সেই মত আমেরিকা সেনা সরিয়ে নিল। তবে সেনা সরলেও আফগানদের সমস্ত রকম অসুবিধায় পাশে পাবে আমেরিকার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে জানালেন ইউএস সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
কাবুল আফগান দখলে চলে যাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে ১ লাখ ২৩ হাজারেরও বেশি লোককে আফগানিস্তান থেকে সরিয়েছে মার্কিন সেনা। এই যুদ্ধে তাঁরা হারিয়েছে ২ হাজার ৪০০ এর বেশি সেনাকে। ‘১০ হাজারেরও বেশি সেনা আহত হয়েছে। আমরা সবসময় চাইব সারা বিশ্বে আমাদের নাগরিকরা যাতে সুরক্ষিত থাকে।’ টুইটে জানিয়েছেন আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সেক্রেটারি লয়েড অস্টিন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসঙ্ঘে আফগানিস্তান নিয়ে প্রস্তাব ভারতের, ভোটদানে বিরত রাশিয়া, চীন
অন্যদিকে, খুশির মেজাজে তালিবানিরা। তালিবানের এক মুখপাত্র সুহীল শাহিন জানিয়েছেন, শেষ আমেরিকান সেনা ছাড়ল দেশ। মেজর জেনারেল ক্রিস ডোনাহু রাত ১২ টায় ছাড়লেন কাবুল বিমানবন্দর। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পরেই মন্ত্রিসভা গঠন প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছিল তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এর নির্ধারিত দিনের মধ্যেই সমস্ত মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আশা করছিল তালিবান। তাঁদের উদ্ধারকাজ শেষ হলেই ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তান গঠন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। বাইডেন প্রশাসন সেনা সরাল। এক নতুন সমাজব্যবস্থা শুরু হবে আফগানিস্তানে। আন্তর্জাতিক রাজনীতির সমীকরণই বা কী হবে সেই দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।
আরও পড়ুন: এবার যোগীর রাজ্যে গ্রেফতার ভুয়ো পুলিশ অফিসার