আগরতলা: জামিন পেলেন তৃণমূলের যুব নেতা-কর্মীরা৷ রবিবার খোয়াই আদালতে পেশ করা হয় ১১ জনকে৷ কিন্তু মামলাই টিকল না আদালতে৷ ৫০ হাজার টাকা ব্যক্তিগত বন্ডের বিনিময়ে দেবাংশু-জয়াদের জামিন মঞ্জুর করে দেন বিচারক৷
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় আদালতে যাওয়ার পথে আক্রান্ত তৃণমূল নেতা, আইনজীবীদের গাড়ি ভাঙচুর
তৃণমূল নেতাদের হয়ে সওয়াল করেন ১২ জন আইনজীবী৷ দেবাংশুদের ছাড়াতে কলকাতা থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৮ জন আইনজীবীকে৷ শুনানি চলাকালীন খোয়াই থানাতেই বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, তৃণমূল নেতাদের জামিন না পাওয়া অবধি থানা ছেড়ে কোথাও যাবেন না৷ তবে আদালতে গিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসুরা৷
আরও পড়ুন: খোয়াই থানায় পৌঁছালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁকে দেখে বিজেপি কর্মীদের গো ব্যাক স্লোগান
ত্রিপুরায় পায়ের তলার জমি শক্ত করতে চায় তৃণমূল৷ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় সরকার গঠনই তাদের লক্ষ্য৷ তাই কিছুদিন আগে তৃণমূলের হয়ে সমীক্ষার কাজ করতে গিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোরের আই প্যাক সংস্থার কর্মীরা৷ কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে কোভিড বিধি ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে৷ আই প্যাক কর্মীদের হোটেলে বন্দি করে রাখারও অভিযোগ ওঠে৷ তার পরই থেকেই ত্রিপুরার বিজেপি সরকারর সঙ্গে ঠোকাঠুকি শুরু হয়েছে তৃণমূলের৷
আরও পড়ুন: সোমবার সংসদে ত্রিপুরা ইস্যুতে সরব হবে তৃণমূল
রবিবার ভোররাতে তৃণমূলের ১১ জন যুব নেতা-নেত্রীকে গ্রেফতারের পর ত্রিপুরা সরকারের বিরুদ্ধে কোমর বেধে নেমে পড়ে তৃণমূল৷ আজ সকালেই আগরতলা যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিমানবন্দর থেকে সটান হাজির হাজির হন খোয়াই থানায়৷ গ্রেফতারের পর এখানেই রাখা হয়েছিল তৃণমূলের ১১ জন নেতা-নেত্রীকে৷ থানায় ঢুকে কর্তব্যরত অফিসারের কাছে জানতে চান কোন অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল নেতাদের?
আরও পড়ুন: ‘আমাদের কথা শুনুন মোদিবাবু’ ভিডিও বার্তা ডেরেকের
অভিষেকের উপিস্থিতিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে থানা এলাকা৷ বাইরে ভিড় জমান বিজেপি কর্মীরা৷ পুরো থানা ঘিরে ফেলে তাঁরা৷ দিতে থাকেন স্লোগান৷ অন্যদিকে দলীয় কর্মীদের মুক্তির দাবিতে থানার ভেতর ধর্নায় বসে পড়ে তৃণমূল৷ অভিষেক জানান, দেবাংশুরা মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত এখানেই অবস্থান বিক্ষোভ দেখাবেন৷ তিনি বলেন, ‘যাঁরা কালো পতাকা দেখাল তাঁদের জন্য মহামারি আইন প্রযোজ্য নয়৷ তাদের বিরুদ্ধে কেন এই আইন লাগু হবে না? আমরা ত্রিপুরায় এসেছি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে৷ শাসনের আইন চলবে না৷ আইনের শাসন চলবে৷’