কলকাতা: একুশের হাই ভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ওই কেন্দ্ররই ভোটার তিনি। বিধায়ক হওয়ার পরে তাঁকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সেই মন্ত্রিত্ব এবং বিধায়ক পদ দলনেত্রীর জন্য ত্যাগ করেছিলেন। আর সেই ত্যাগের জন্য গর্বিত শোভনদেববাবু।
বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যপাধ্যায়। সেখান থেকে পরাজিত হয়ে ফের ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিয়ম অনুযায়ী বিধায়ক না হয়ে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে বিধানসভার সদস্য হতে হয়। সেই কারণেই উপ-নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়েছে ভবানীপুরে। সেই পথ প্রশস্ত করতে নিজের বিধায়ক পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার সকালের দিকে ভোট দানের জন্য নিজের বুথে যান শোভনবাবু। সেই সময়ে কলকাতা টিভির মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “নেত্রীর জন্য নিজের আসন ছেড়ে দিয়ে আমি গর্বিত। উনি জিতলে আরও অনেক বেশি খুশি হব। নন্দীগ্রামে চক্রান্তের শিকার হতে হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ভবানীপুরের মানুষ তাঁকে দুই হাত তুলে আশীর্বাদ করবেন। এই বিশ্বাস আমার আছে।”
আরও পড়ুন- ১৪৪ ধারা জারি তবুও খোলা হয়েছে রেস্তোরাঁ, রিপোর্ট চাইল কমিশন
বৃহস্পতিবার ভবানীপুর উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণের প্রথম কয়েক ঘণ্টায় খুব বেশি ভোট পরেনি। বুথের বাইরে লম্বা লাইন দেখা যায়নি। এই বিষয়ে শোভনদেববাবু বলেছেন, “উপ-নির্বাচনে ভোতের হার কম থাকে। তবে এখনও অনেক সময় বাকি রয়েছে। আগের দুই দিনের তুলনায় আজকের আবহাওয়া অনেক ভাল। বেলা বাড়লে মানুষ নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।” বেশি ব্যবধানে নেত্রী মমতাকে জিতিয়ে সমগ্র দেশকে বার্তা দেওয়াই তৃণমূলের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “ত্রিপুরায় সংগঠন বাড়ছে। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। মোদিকে ব্যাপকভাবে হারাতে হবে। এটাই লক্ষ্য।”
আরও পড়ুন- কলকাতা টিভি-কে খবর সংগ্রহে বাধা, অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে
নিজের আসন নেত্রীর জন্য ছেড়ে দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তে দলের নবীনদের কাছে কি বার্তা দিতে চাইছেন? এই প্রশ্নের জবাবে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “আমি আসন ছেড়ে দিয়েছি দল এবং নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে। দলের প্রতি দায়বদ্ধতা রাখা উচিত সকলের। আমার বাবা আমায় জন্ম দিয়েছেন কিন্তু দল আমায় বিধায়ক করেছিল।” শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার খড়দহ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। সেখানে খুব সহজেই জয় হাসিল হবে বলে দাবি করেছেন তিনি।