কলকাতা: আবহাওয়া অফিসের শেষ দিনের পূর্বাভাসকে সত্যি করে অবশেষে স্বস্তি। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সেভাবে দাপট দেখাতে পারল না। দীপাবলির রাতে যা নিয়ে রাজ্যবাসীর মনে আশঙ্কা ঘনীভূত হয়েছিল। রাতেই সিত্রাং আছড়ে পড়ল বাংলাদেশ উপকূলে। সোমবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তা ল্যান্ডফল করে। বরিশালের কাছে সুন্দরবনের তিনকোনা ও সন্দীপ আইল্যান্ডের মধ্যে ওই ল্যান্ডফল হয়েছে। তারপরেই শক্তি হারিয়ে এটি সাইক্লোন থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে আছড়ে পড়েছে। সেখান থেকে তা ক্রমশ বাংলাদেশের উত্তর ও উত্তর পূর্বের দিকে সরে যাচ্ছে। পরে তা আরও দুর্বল হবে।
আরও পড়ুন Partial Solar Eclipse: মঙ্গলবার আংশিক সূর্যগ্রহণ, কলকাতায় কখন থেকে শুরু হবে?
ফলে এই রাজ্যে সিত্রাংয়ের সেভাবে প্রভাব পড়ল না। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ লাগোয়া জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গেও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে আজ, মঙ্গলবারও মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এদিন রাজ্যে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।তবে ত্রিপুরা ও মিজোরামে এর প্রভাব বেশি থাকবে। সেখানে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টিপাত হবে আগামী ৪৮ ঘণ্টায়।
সিত্রাংয়ের জন্য সবরকম সতর্কতা নিয়েছিল প্রশাসন। রাজ্যে উপকূল এলাকা থেকে কয়েক হাজার মানুষকে সরানো হয়। পর্যটকদের সমুদ্রের ধারে যেতে নিষেধ করা হয়। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নামায় নিষেধ করা হয়। নবান্নে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নিজে প্রতি মুহূর্তে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখেন। রাজ্য প্রশাসনের উচ্চপদস্থ অফিসাররা তদারকি করেছেন। জেলায় সমুদ্র উপকূল এলাকায় সেখানকার প্রশাসনের শীর্ষ আমলারা দাঁড়িয়ে থেকে পরিস্থিতির তদারকি করেছেন।