মুম্বই: আমেদবাদ টেস্টে (Ahmedabad Test) পিঠের চোটের জন্য ব্যাট করতে পারেননি শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer)। সেই চোটের জেরেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন তিনি। পিঠের চোট তাঁর আগে থেকেই ছিল। আমেদাবাদ টেস্টে প্রথম দুইদিন টানা ফিল্ডিং করার পর সেই চোট আবার ভোগাতে শুরু করে শ্রেয়সকে। ফলে আর ব্যাটই করতে পারেননি তিনি। কলকাতা নাইট রাইডার্সের (Kolkata Knight Riders) অধিনায়ক আইপিএলে (IPL) খেলতে পারবেন কি না তাও এখনও নিশ্চিত নয়। এই বিষয়টা যে কেকেআর (KKR) টিম ম্যানেজমেন্টকে সমস্যায় ফেলবে তা বলাই বাহুল্য।
চতুর্থ টেস্ট চলাকালীনই চোট কতটা গুরুতর তা পরীক্ষা করাতে হাসপাতালে চলে যান শ্রেয়স। বেশ কিছু স্ক্যানও করতে হয়। তারপরেই বোঝা যায় চোট সামান্য নয়। ম্যাচ শেষে আক্ষেপ করে রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) বলেছিলেন, বেচারা, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ব্যাট করার জন্য সারাদিন (দ্বিতীয় দিন) অপেক্ষা করতে হল ওকে। যখন দিন শেষ হল ওর পিঠের চোট ফিরে এল। শ্রেয়সকে স্ক্যান করার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্ক্যানের রিপোর্ট কী হয়েছে জানি না, তবে ও খুব একটা সুস্থ বলে মনে হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: India vs Australia: ভারতের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজেও অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ
রোহিতের আশঙ্কাই সত্যি বলে প্রমাণিত হল শেষ পর্যন্ত। এখন জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (NCA) রিহ্যাব চালিয়ে যাবেন শ্রেয়স। বিসিসিআইয়ের (BCCI) মেডিক্যাল স্টাফরাই জানাতে পারবেন ঠিক কবে ক্রিকেট মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি। শ্রেয়সের এই পিঠের চোটের উৎপত্তি হয়েছিল গত ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ সফরে। সে সময়ে পিঠের নীচের দিকে ফুলে গিয়েছিল। এনসিএ-তে এর জন্য ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় লেগেছিল শ্রেয়সের। সেই কারণে নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ এবং নাগপুরে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির (Border-Favaskar Trophy) প্রথম টেস্ট খেলতে পারেননি।
প্রসঙ্গত, পিঠের চোটে অনেকদিন ধরে মাঠের বাইরে ভারতের আর এক ক্রিকেটার জশপ্রীত বুমরা (Jasprit Bumrah)। পিঠে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁর। চিকিৎসা করাতে নিউজিল্যান্ডে (New Zealand) গিয়েছিলেন জাতীয় দলের পেসার। ক্রাইস্টচার্চের (Christchurch) ফোর্টে অর্থোপেডিকস হাসপাতালে ডাঃ রোয়ান স্কাউতেন বুমরার অস্ত্রোপচার করেছেন। সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে অন্তত ছয় মাস লাগবে ভারতীয় পেসারের। ফলে আইপিএল খেলার কোনও সম্ভাবনা নেই। এ বছরের শেষের দিকে রয়েছে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ। মহা গুরুত্বপূর্ণ সেই টুর্নামেন্টে তাঁকে খেলানোর যাবতীয় চেষ্টা চালাচ্ছে বিসিসিআই (BCCI)।