বিরোধী দলগুলির সঙ্গে কেন্দ্রের শাসক বিজেপির নানা কারণে ক্রমেই তিক্ততা বেড়ে চলেছে। আর এই আবহে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন অনুষ্ঠান বয়কট করার প্রবনতাও কি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে? তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ, শনিবার থেকে শুরু হওয়া গুজরাতের আহমেদাবাদে কেন্দ্রীয় সরকার আয়োজিত ইন্ডিয়ান সায়েন্স কনক্লেভ। রহস্যজনকভাবে সেই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ঝাড়খণ্ড এবং বিজেপি।
কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে প্রয়োজনীয় সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যমে বিজ্ঞান আর প্রযুক্তিগত বিষয়ে নানা রকম উদ্ভাবনী কাজকর্মের সুযোগ আরও বাড়াতে দেশে প্রথমবার এই ধরণের কনক্লেভের আয়োজন করা হয়েছিল। আহমেদাবাদের সায়েন্স সিটিতে শনিবার ওই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কনক্লেভ চলবে রবিবার পর্যন্ত। কিন্তু একেবারে শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক এরকম একটি অনুষ্ঠানে বিহার ও ঝাড়খণ্ডের মত দুই রাজ্যের অনুপস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট জল্পনা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন:চালু হল কলম্বিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক, আশার আলো দেখছে ভেনেজুয়েলা
আসলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে এর মূল কারণ দুই রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্রমেই বেড়ে চলা তিক্ততা। বিহারে সম্প্রতি বিজেপির হাত ছেড়ে আরজেডি আর কংগ্রেস-এর সঙ্গে মহাগাটবন্ধন সরকার গঠন করেছেন নীতীশ কুমার। যার ফলে বিহারে কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অভিযান ক্রমেই লক্ষ্যনীয়ভাবে বাড়ছে। আবার ঝাড়খণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে খনি লিজ মামলা নিয়ে অভিযোগ ওঠায় তাঁর মুখ্যমন্ত্রী পদ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। আর এই পরিস্থিতিতে দুই রাজ্যের প্রতিনিধিদের কেন্দ্রীয় সরকারের ওই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিতি যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা।
অবশ্য কেন্দ্রের তরফে অনেক ক্ষেত্রেই বিধি মেনে রাজ্যগুলিকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোর অভিযোগও উঠছে। সর্বশেষ যে অভিযোগ নয়াদিল্লিতে সম্প্রতি নেতাজী মূর্তির আবরণ উন্মোচন উপলক্ষ্যে কেন্দ্রের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।