নয়াদিল্লি: বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনই সংসদে শুরু হল রাষ্ট্রপতি নির্বাচন৷ প্রতিটি রাজ্যের বিধানসভাগুলিতেও চলছে ভোটদান প্রক্রিয়া৷ নির্বাচন শুরু হতেই এদিন সকালে ১৭টি রাজনৈতিক দলের সম্মিলিত বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহা সব সাংসদ ও বিধায়কদের কাছে গণতন্ত্র বাঁচানোর এবং সংবিধান রক্ষার আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ সব সাংসদ ও বিধায়করা সংবিধান রক্ষায় আমাকেই ভোট দেবে৷’ অন্যদিকে সব রাজনৈতিক গুলির কাছে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে এনডিএ পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান৷
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য সংসদ ভবনের ভিতর ও বাইরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়েছে৷ এদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় ভোটদান৷ চলবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত৷ সোমবার সকাল সকালই ভোট দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, অনুরাগ ঠাকুর৷ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও সকালেই চলে আসেন সংসদে৷ অন্যদিকে প্রতি রাজ্যের বিধানসভাগুলিতে এক এক করে হাজির হন বিধায়ক ও মন্ত্রীরা৷ তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওডিশা, উত্তরাখণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীরাও ইতিমধ্যে ভোট দিয়েছেন৷ গোটা দেশের ৪৮০০ সাংসদ ও বিধায়করা দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি আজ বেছে নেবেন৷ ২১ জুলাই ফল ঘোষণা৷
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদীর জয় নিয়ে এনডিএ শিবির নিশ্চিত জেনেও এদিন যশবন্ত সিনহা শেষলগ্নে সাংসদ ও বিধায়কদের তাঁকেই ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেন৷ তিনি বলেন, ‘ভোট গোপন ব্যালটে হবে৷ তাছাড়া কোনও দল হুইপও জারি করেনি৷ কাজেই নিজের বিবেকবুদ্ধি মতো পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিন৷’ যশবন্তের কথায়, তিনি শুধু রাজনৈতিক লড়াই নয়, সরকারের এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধেও লড়াই করছেন৷ ধর্মনিরপেক্ষতাকে বাঁচাতে তিনি রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হয়েছেন৷ তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী যে দল থেকে দাঁড়িয়েছেন, সেই দল ধর্মনিরপেক্ষতার স্তম্ভকে ধ্বংস করে সংখ্যাগুরুর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে৷