ইস্তাম্বুল: তুরস্কের ইস্তাম্বুলে শান্তি বৈঠক শুরুর আগে (Russia-Ukraine Peace Talk) আগেই ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউক্রেনের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দেন, দেশের অখণ্ডতা রক্ষার সঙ্গে কোনওরকম আপস নয়। কোরিয়ার মতোই ইউক্রেনকে দিখণ্ডিত করতে চাইছেন ভ্লাদিমির পুতিন, ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান এমন অভিযোগও করেন। এমত অবস্থায় ইস্তাম্বুলে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি বৈঠক আদৌ ফলপ্রসূ হবে কি না, তা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। বিশেষত, আগের বৈঠকগুলো ব্যর্থ হওয়ায়। কিন্তু, রাশিয়া (Ukraine-Russia Conflict) এ দিন অনড় না-থেকে তুলনায় নমনীয় মনোভাব দেখানোয়, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। বিশদ কিছু না জানালেও রাশিয়ার তরফে মধ্যস্থতাকারীরা তা স্বীকারও করে নিয়েছেন।
BREAKING: Russia agrees to reduce military activity near Kyiv and Chernihiv to help increase mutual trust during talks with Ukraine
— BNO News (@BNONews) March 29, 2022
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক কিছু দিন আগেই দাবি করেছিল, ক্রেমলিনের লক্ষ্য এখন কিভ (Kyiv)। ইউক্রেনের রাজধানী শহরকে পাখির চোখ করেই এগোতে শুরু করে রুশ সেনা। উপগ্রহ চিত্রে রুশ গতিবিধি লক্ষ্য করেই এ কথা জানিয়েছিল ব্রিটেন। ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গোয়েন্দাদের ধারণা যে অমূলক নয়, সে প্রমাণও দিয়েছে রাশিয়া। কিভ শহরকে চারপাশ থেকে ঘিরতে শুরু করে। বাড়তে থাকে সেনাবহর (Russia-Ukraine war latest)। মধ্য কিভের কাছাকাছি পৌঁছে পুতিনের সেনা অপেক্ষা করতে থাকে। শুধু সেনা জড়ো করা নয়, কিভে আকাশপথে একের পর এক হামলাও চালানো হয়। আর চেরনিহিভ– সেখানকার পরমাণু কেন্দ্রের দখল আগেই নিয়েছিল পুতিনের সেনা। ইউক্রেনের যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরগুলির একটি চেরনিহিভ। এমত অবস্থায় উল্লিখিত দুই শহর থেকে রুশ সেনা কমানোর সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।
Russia’s deputy defense minister says Moscow has decided to “fundamentally cut back military activity in the direction of Kyiv and Chernigiv” in order to “increase mutual trust for future negotiations to agree and sign a peace deal with Ukraine.” pic.twitter.com/2qDYOzAzDp
— max seddon (@maxseddon) March 29, 2022
এ দিনের শান্তি বৈঠকের প্রেক্ষিতে আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ ইউক্রেনের মিত্র দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি। তবে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুতিন ও জেলেনস্কির বৈঠকে বসার একটি ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারেননি ইউক্রেনের তরফে মধ্যস্থতাকারীরা। ইস্তাম্বুল বৈঠকের উল্লেখ করে তাঁরা জানিয়েছেন, যে কোনও সময় জেলেনস্কি-পুতিন কথা হতে পারে।
এ দিনের বৈঠকে যুদ্ধ থামার ইঙ্গিতও যে রয়ে গিয়েছে, তা আলাদা করে উল্লেখের অপেক্ষা রাখে না।