কলকাতা: কালো করে মেঘ জমেছিল শহর কলকাতার (Kolkata) আকাশে। অবশেষে ভিজল মহানগরী। ৪০-৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে। শুধু কলকাতাই নয়, আশপাশের শহরতলিতেও তুমুল ঝড়-বৃষ্টি (Thunderstorm)।
উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও নদিয়া জেলাতেও বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে। প্রতিটি জেলাতেই ৪০-৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। কলকাতা ও দুই চব্বিশ পরগনার জন্য আগামী দু’ঘণ্টার জন্য বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা এবং হাওড়া ও নদিয়া জেলার জন্য আগামী তিন ঘণ্টার জন্য বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বজ্রপাতের সময়ে মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Cyclone Biparjoy | ল্যান্ডফলের সময় গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ কিমি, ১৫জুন পর্যন্ত বাতিল বহু ট্রেন
১২ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত ভয়ানক বজ্রপাতের (Lighting Strike) সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সতর্কতা জারি হয়েছে অতি ভয়াবহ মুহুর্মুহু জীবননাশী ‘ক্লাউড টু গ্রাউন্ড’ বজ্রপাতের।
১২ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত সময়সীমার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ অঞ্চলে মাঝেমধ্যে বিপজ্জনক ভয়াবহ বজ্রপাতের সতর্কতা দেওয়া হল। মাঝেমধ্যে বিক্ষিপ্ত থেকে কোনও কোনও সময় প্রায় বিস্তৃত বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি ও ঝড়বৃষ্টির পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ভয়াবহ বজ্রপাত দেখা যাবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আরব সাগরের বুকে ফুঁসতে থাকা ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফলের আগেই গুজরাত উপকূলে তাণ্ডব লীলা চালাতে শুরু করেছে। যদিও ঘূর্ণিঝড়ের ল্যাণ্ডফল হতে এখনও একদিন বাকি আছে। তার আগেই উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি।
মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আগামী ১৫ জুন গুজরাতের (Gujrat) কচ্ছ উপকূলে আছড়ে পড়বে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। সেই সময় হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১২৫ থেকে ১৫০ কিলোমিটার। কেবলমাত্র আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তই নয়, গুজরাতের কচ্ছ উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। কোনও উপকূলবর্তী এলাকায় এবং সমুদ্র পাড়ে জমায়েত করা যাবে না। ১৬ জুন পর্যন্ত জারি থাকবে ১৪৪ ধারা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘূর্ণিঝড়টি কচ্ছ জেলার জাখাউ বন্দরের কাছে আছড়ে পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ১৪ জুনও প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হবে গুজরাটে। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তায় বিশেষভাবে অ্যালার্ট করা হয়েছে গুজরাতকে। কচ্ছ, পোরবন্দর, দেবভূমি দ্বারকা, জামনগর, জুনাগড়, মোরবি এলাকায় এই ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা। এই সমস্ত জেলায় উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সমস্ত বন্দর সংলগ্ন এলাকায় অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।