নয়াদিল্লি: সুরাতের আদালতে (Surat Court) দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় অবশেষে লোকসভার সদস্যপদ (Member of Lok Sabha) খারিজ হল কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi)। লোকসভার সচিবালয়ের তরফে এক চিঠিতে শুক্রবার জানিয়ে দেওয়া হয়, কেরলের ওয়েনাড়ের লোকসভা সদস্য রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ খারিজ করা হল। ২৩ মার্চ আদালতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত। প্রসঙ্গত মোদি পদবি নিয়ে মন্তব্য করায় গতকাল সুরাতের একটি আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং ২ বছর জেলের সাজা ঘোষণা করে।
রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় শুক্রবার উত্তাল হয়ে উঠল লোকসভা। এদিন সকালে ওয়েনাড়ের কংগ্রেস সাংসদ লোকসভায় (Lok Sabha) হাজির হন। কংগ্রেস সদস্যরা তেড়েফুঁড়ে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা রাহুল গান্ধীকে কথা বলার সুযোগ দেওয়ার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই লোকসভা দিনের মতো মুলতুবি করে দেওয়া হয়। পরবর্তী সভা বসবে আগামী ২৭ মার্চ।
আরও পড়ুন: Aadhaar Pan Link | ৩১ মার্চের মধ্যে প্যান কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্ত না হলে অবৈধ বলে ঘোষণা হবে
রাহুল গান্ধীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে শুধুমাত্র সংসদই নয়, গোটা দিল্লি ক্ষোভে ফুঁসছে। সে কারণে কংগ্রেসের সদর দফতর আকবর রোড সহ অনেক জায়গায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বিরোধীরা এদিন মিছিল করে বিজয়চকের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে তাঁরা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে কথা বলার সময় চাইবেন।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময় কর্নাটকে প্রচারে গিয়ে রাহুল প্রশ্ন তুলেছিলেন, সব চোরেদের পদবি মোদি হয় কেন? আইপিএল কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ললিত মোদি, ব্যাঙ্ক-ঋণ মামলায় পলাতক নীরব মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুলনা টেনে এই কটাক্ষ করেন তিনি। ওই ঘটনায় রাহুলের বিরুদ্ধে অবমাননার অভিযোগে মানহানির মামলা করেছিলেন গুজরাতের বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি। সেই মামলাতেই বৃহস্পতিবার দোষী সাব্যস্ত হলেন রাহুল।
কংগ্রেস (Congress) নেতৃত্বাধীন ১৪টি বিরোধী দল সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI), ইডির (ED) মতো এজেন্সিদের অপব্যবহার করা হচ্ছে বিরোধীদের উপর। এই অভিযোগে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের (CJI DY Chandrachud) কাছে শুক্রবার আবেদন করে ১৪টি বিরোধী দল। আবেদনে সর্বোচ্চ আদালতের কাছে গ্রেফতার, ব্যবস্থা নেওয়া এবং গ্রেফতার পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশিকা জারি করার দাবি জানিয়েছে। আবেদন গ্রহণ করে আগামী ৫ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। যৌথ আবেদনে কংগ্রেস ছাড়াও রয়েছে আম আদমি পার্টি, উদ্ধব গোষ্ঠীর শিব সেনা, ডিএমকে, আরজেডি, বিআরএস, তৃণমূল কংগ্রেস, এনসিপি, জেএমএম, জিডিইউ, সিপিএম, সিপিআই, সপা এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স।